টিডিএন বাংলা ডেস্ক : তামিলনাড়ুর কুন্নুরে নীলগিরির জঙ্গলে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিফ অফ ডিফেন্স বিপিন রাওয়তকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাওয়াত সহ ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সেনা সর্বাধিনায়ক সহ সকলের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেকেই।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ টুইটারে শোকপ্রকাশ করে বলেন, “জেনারেল বিপিন রাওয়ত এবং তাঁর স্ত্রী মধুলিকা জির অকাল মৃত্যুতে আমি মর্মাহত ও ব্যথিত। জাতি তার এক বীর সন্তানকে হারাল। মাতৃভূমির জন্য তাঁর চার দশকের নিঃস্বার্থ সেবা নায়কোচিত এবং ব্যতিক্রমী বীরত্বের সূচক। তার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাই।”
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্যুইটারে শোকবার্তায় বলেন, “জেনারেল বিপিন রাওয়ত একজন অসামান্য সেনানী ছিলেন। ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। দেশের সশস্ত্র বাহিনী এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণে তাঁর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। কৌশলগত অবস্থানের প্রশ্নে তাঁর অন্তর্দৃষ্টি এবং দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ব্যতিক্রমী। তাঁর মৃত্যু আমাকে গভীরভাবে শোকাহত করেছে। ওম শান্তি।” তিনি আরও লেখেন, “তামিলনাড়ুতে মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। সেখানে আমরা জেনারেল বিপিন রাওয়ত, তাঁর স্ত্রী এবং সশস্ত্র বাহিনীর অন্য সদস্যদের হারিয়েছি। তাঁরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ভারতের সেবা করেছেন। শোকাহত পরিবারের পাশের রয়েছি আমি।”
এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতাও। তাঁর ট্যুইট, ‘‘খবরটা শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল।’’ এর আগে অপর একটি ট্যুইটে তিনি লিখেছিলেন, “কুন্নুর থেকে খুব দুঃখজনক খবর এসেছে। গোটা জাতি আর সেনা সর্বাধিনায়ক, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং কপ্টারের সহযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করছে। আমরা সকলের আরোগ্য কামনা করছি।”