৯ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১৮০০০ কোটি টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ছবি সৌজন্যে নরেন্দ্র মোদির টুইটার পেজ।

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: একদিকে যখন দিল্লির সীমান্তে কেন্দ্রের তিনটি নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে লাগাতার এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার কৃষকরা ঠিক সেই সময় দেশের ৯ কোটি কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি ১৮ হাজার কোটি টাকা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনার অন্তর্গত এই কর্মসূচিতে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়া হল দেশের বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকদের। এদিনের এই অনুষ্ঠান চলাকালীন ৬ টি রাজ্যের কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

অরুণাচল প্রদেশের এক কৃষকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন,”কিছু মানুষ এমন ভাবে বিভ্রান্ত করছেন যেআপনাদের ফসলের যদি কেউ কন্ট্রাক্ট করে তাহলে সে ফসলের সাথে আপনার জমিও নিয়ে চলে যাবে। এতটাই মিথ্যে কথা তারা প্রচার করছে।”

শুধু তাই নয়, দেশের কৃষকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন,”কৃষকদের জীবনে খুশি আমাদের সবার জীবনে খুশি বৃদ্ধি করে। আজকের দিনটিও খুবই পবিত্র। কৃষকদের আজ যে সম্মান তহবিল দেওয়া হয়েছে, তার সাথেই আজকের এই দিনটি অনেকগুলি সুযোগের সঙ্গম হিসেবে সামনে এসেছে।”

এরপর পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের এই অর্থসাহায্য করতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন,”আজ আমি আফসোস করছি যে পশ্চিমবঙ্গের ৭০ লক্ষেরও বেশি কৃষক ভাইবোনরা এই সুবিধা পেতে পারেনি। বাংলার ২৩ লক্ষেরও বেশি কৃষক এই প্রকল্পের সুযোগ নিতে অনলাইনে আবেদন করেছেন। তবে রাজ্য সরকার এত দিন যাচাই প্রক্রিয়া বন্ধ করে রেখে দিয়েছে।”

বিরোধী দলগুলির উপরে আক্রমণ করে নরেন্দ্র মোদী আরো বলেন,”স্বার্থের রাজনীতি করতে থাকা মানুষদের জনগণ খুব ভালোভাবেই দেখতে পাচ্ছে। যে দল পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের দুর্দশায় কোন কিছু বলে না, সেই দল কৃষকদের নামে দিল্লির নাগরিকদের হয়রান করতে এবং দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে ব্যস্ত হয়ে রয়েছে।”

বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে আরো আক্রমণ করে মোদি বলেন,”আমি এই দলগুলিকে বলছি যে আপনারা এখানে ছবি তোলার জন্য প্রোগ্রাম করেন, একটু কেরালায় আন্দোলন করে সেখানে এপিএমসি শুরু করুন। পাঞ্জাবের কৃষকদের বিভ্রান্ত করার জন্য আপনাদের কাছে সময় আছে, কেরালায় এই ব্যবস্থা শুরু করার জন্য আপনাদের কাছে সময় নেই। কেন আপনারা দু’রকমের নীতি নিয়ে চলছেন?”

মোদি আরো বলেন,”কৃষকদের নাম নিয়ে নিজেদের পতাকা হাতে আপনারা যারা খেলছে তাদের এবার সত্যি কথাটা শুনতে হবে। এরা খবরের কাগজ এবং মিডিয়ায় জায়গা তৈরি করে রাজনৈতিক ময়দানে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার জড়িবুটি খুঁজে চলেছেন। এরা সেই লোক যারা বহু বছর ধরে রাজত্বে ছিলেন।ঈদের নীতির কারণেই দেশের কৃষকদের এবং কৃষি ব্যবস্থার কতটা উন্নতি হওয়া সম্ভব হয়নি যতটা উন্নতি হওয়া সম্ভব ছিল। আগের সরকারের ভুল নীতির কারণে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ছোট কৃষকরা।”