HighlightNewsআন্তর্জাতিক

কোরআন পুড়িয়ে দেওয়ায় সুইডেনে চলছে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, আহত ৪০, গ্রেফতার ২৬, ক্ষতিগ্রস্থ ২০টি গাড়ি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : সুইডেনে গত বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) স্ট্রাম কুর্স নামের কট্টরপন্থী পার্টি মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন পুড়িয়ে দেয়। এর জেরে দেশটিতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে টানা চার দিনের মতো সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৪০ জন আহত হয়েছে। সোমবার দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে প্রায় ২৬ জন পুলিশ ও ১৪ জন ব্যক্তি আহত হয়েছে। এছাড়া ২০টির বেশি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ বা ধ্বংস হয়েছে।

সুইডেনের জাতীয় পুলিশ প্রধান অ্যান্ডার্স থর্নবার্গ বলেছেন, নরকোপিনে রবিবারের সংঘর্ষের পর এমন সহিংস দাঙ্গা তিনি এর আগে কখনো দেখেননি। সোমবার দেশটির লিনকোপিন এবং নরকোপিন শহরে পুলিশ ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। এখানে গত শুক্রবার সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। দেশটির কর্মকর্তারা জানান, সংঘর্ষে প্রায় ২০০ জন জড়িত ছিল। তাদের ধারণা এটি অপরাধী চক্রের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংগঠিত হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত বেশ কয়েকজন দেশটির পুলিশ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার কাছে আগে থেকে পরিচিত বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, স্ট্রাম কুর্স পার্টির নেতা রাসমাস পালুদা কোরআন পুড়িয়ে ফেলার পর দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। রাসমাস পালুদাই মুসলিমবিরোধী বিক্ষোভের পরিকল্পনা করে এবং তা প্রদর্শন করে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে কোরআন পুড়িয়ে দেওয়া ছবি পোস্ট করে রাসমাস পালুদা ঘোষণা দিয়েছেন তিনি আরও কোরআন পোড়াবেন। এদিকে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে সৌদি আরব, ইরান ও ইরাক।

এ সম্পর্কে ইরানের বিচার বিভাগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ প্রধান ও মানবাধিকার সংস্থার সচিব গরিবাবাদি তার টুইটার বার্তায় লেখেন, “কোনো পরিস্থিতিতেই বিশ্বের কোনো স্থানেই ধর্মের অবমাননা মেনে নেয়া যায় না।” তিনি আরো লিখেছেন, “ইউরোপ জুড়ে ধর্মের প্রতি অসহিষ্ণু আচরণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বর্তমানে সুইডিশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সুইডেন মুসলমানদের জন্য একটি জেলখানায় পরিণত হয়েছে। দেখেশুনে মনে হয় তারা মধ্যযুগীয় চিন্তাচেতনায় ফিরে যেতে চায়। সূত্র- দৈনিক ইত্তেফাক, পার্স টুডে

Related Articles

Back to top button
error: