টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ভক্তের অন্ধভক্তি। মোদি বন্দনায় এতই ‘অন্ধ’, যে তাকে দেবতার স্থান দিয়ে দেবালয়ে অধিষ্ঠিত করতেও পিছপা হন না ভক্ত। সম্প্রতি এমনই ঘটেছে পুনার আউন্ধ অঞ্চলে। বিজেপি কর্মী ময়ূর মুণ্ডে সম্প্রতি একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তার ভেতরে বসান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবক্ষ মূর্তি! দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব অবশ্য বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। জোর সমালোচনার জেরে অগত্যা মন্দির থেকে মোদির মূর্তি সরাতে বাধ্য হলেন ওই কর্মী।
কেন তিনি এই কাজ করেছিলেন? সেই সময় মুণ্ডে বলেছিলেন, “আমি মোদির অনুগামী। আমি তাকে পুজো করি। তার আশীর্বাদ নিয়ে কাজ করি। অন্যান্য মোদি ভক্তের কথা চিন্তা করে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা। এবার থেকে তারাও এই মন্দিরে এসে মোদির আশীর্বাদ চাইবেন।” তার এই অন্ধভক্তির কথা শুনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব খুশি নন, বরং তারা ক্ষেপে যান। অসন্তুষ্ট শুধু দলীয় নেতৃত্বই নন। ওই মন্দির নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছিল শিবসেনা ও এনসিপি। স্থানীয় এনসিপি’র প্রধান প্রশান্ত জগতাপ বলেছিলেন, “আমরা ওই মন্দিরে গিয়ে পেট্রোল, এলপিজি ও নানা খাদ্যদ্রব্য উৎসর্গ করবো। কারণ ওই জিনিসগুলোর দাম রেকর্ড বেড়েছে।” তিনি পরে বলেন, তারা ওই মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করতে চেয়েছিলেন যাতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম কমে। বেকাররা চাকরি পায়। শহরের নানা সমস্যার সমাধান হয়। কিন্তু মন্দির থেকে মোদির মূর্তি ছড়ানোতে সেই আশা পূরণ হয়নি।
শিবসেনা নেতারা বলছেন, “মুদ্রাস্ফীতি রেকর্ড ছুঁয়েছে। গরিবরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। আমরা মন্দিরে প্রার্থনা জানাতাম যাতে গরিবদের প্রতি মোদির দয়া হয়।” সমালোচনা যখন এই স্তরে, সেই সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মুণ্ডে। তিনি বলেন, “আমার পক্ষ থেকে যা বলার উকিল বলবেন।” এরপর তাঁর আইনজীবী মধুকর মুসালে বলেন, কিছুদিন আগে ওই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। স্থানীয়রা উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে বহু মানুষ শ্রদ্ধা করেন। তাই ওই মন্দিরের কথা সারা দেশে ছড়িয়ে যায়। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মন্দিরের কথা জানতে পারেন। মন্দির থেকে মোদির মূর্তি সরানোর নির্দেশ দেন তারা।”