HighlightNewsরাজ্য

পুরুলিয়ার গুলি করে হত্যা কংগ্রেস কাউন্সিলরকে, আটক তৃণমূল নেতা ভাইপো!

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : পুরুলিয়ার ঝালদায় ২ নম্বর ওয়ার্ডের নব্যনির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। গুলির আওয়াজে শোরগোল পড়ে যায়, জড়ো হয়ে যান স্থানীয়রা। রক্তাক্ত অবস্থায় কংগ্রেস কাউন্সিলরকে দ্রুত উদ্ধার করে ১ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হওয়ায় তাঁকে রাঁচির হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জানা গিয়েছে, ওই দিনই পুরুলিয়ায় কংগ্রেসের এক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর বাড়িতে ফিরে বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ঝালদা-বাগমুণ্ডি সড়ক দিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে চড়ে দু-তিনজন সেখানে এসে তাদের পথ আটকায়। সেই সময়ই ওই দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথার গুলি লাগায় সেখানেই তিনি পড়ে যান। তবে কে বা কারা তাঁকে গুলি করেছেন তা জানা যায়নি। এই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
যদিও এই হত্যার ঘটনায় তাঁরই পরিবারের একাধিক সদস্যের দিকে আঙুল উঠেছে। পুলিশ এরই মধ্যে কাউন্সিলরের দাদা, ভাইপো এবং বাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে পুরুলিয়ার জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের চিহ্নিতকরণের চেষ্টা চলছে।’

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, দিদির সব চাই মানসিকতার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারা এই ঘটনার প্রতিবাদে পুরুলিয়ায় বন্ধের ডাক দিয়েছেন। ১২ ঘন্টার বনধের মধ্যে বিকেল ৩ টে নাগাদ ঝালদায় যাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। থাকবেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতও। কংগ্রেসের তরফে বনধের ডাক দেওয়া হলেও মাধ্যমিক পরীক্ষারাথীদের বনধের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জনপ্রতিনিধি হত্যার ঘটনায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক টুইটে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, যদি নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়।

উল্লেখ্য যে, তৃণমূল প্রার্থী তথা সম্পর্কে ভাইপোকে হারিয়ে এবার পুরভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হন তিনি। ওই কাউন্সিলরের স্ত্রীও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়াই করে জয়ী হন। এদিকে, ১২টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভার ফলাফল এখনও ত্রিশঙ্কু। কংগ্রেস এবং তৃণমূল এই পুরসভায় ৫টি করে মোট ১০টি আসন পায়। নির্দল বাকি ২টি। ভোটের ফলপ্রকাশের পরই ১ জন নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেন। তাই বর্তমানে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে ৬টি হয়েছে। তবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়ার ফলে তৃণমূলের পক্ষে এখনও বোর্ড গঠন করা সম্ভব হয়নি।

Related Articles

Back to top button
error: