টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ইতিবাদ বিজড়িত জালিয়ানওয়ালাবাগের সৌন্দার্যায়ন। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। গর্জে উঠলেন দেশের তাবড় ইতিহাসবিদরাও। এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধিও। ট্যুইটারে এদিন তিনি বলেন, ‘আমিও শহিদ সন্তান। শহিদদের অপমান কোনওভাবেই বরদাস্ত করব না।’
জালিয়ানওয়ালাবাগের গণহত্যার শতবর্ষ কেটে গেছে। ২৮ অক্টোবর আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেই স্থানের খোলনলচে বদলে ফেলা হয়েছে। নানকশাহি ইটে বানানো অপরিসর গলিপথের জায়গায় ম্যুরাল শোভিত গ্যালারি। ঝা চকচকে লাইট। শনিবার ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ”ইতিহাসকে সুরক্ষিত করা দেশের কর্তব্য।” কিন্তু লেজার লাইট, ম্যুরাল গ্যালারিতে সজ্জিত নয়া জালিয়ানওয়ালাবাগের ছবি প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেন থেকে বিজ্বজ্জন সকলের প্রশ্ন, এটা কি ইতিহাসকে সুরক্ষা নাকি ধ্বংস?
এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন সোনিয়া তনয়ও। রাহুল বলেন, ”জালিওয়ানওয়ালাবাগ শহিদদের এই অপমান তারাই করতে পারে, যারা শহিদ হওয়ার অর্থ বোঝে না। আমি একজন শহিদ সন্তান। কোনও মূল্যেই শহিদদের অপমান সহ্য করব না। আমরা এই নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ করছি।” সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈও। তাঁর কথায়, রাষ্ট্রীয় স্মারক সৌধে ডিস্কো লাইট ঠিক মেনে নেওয়া যায়না।
সুর চড়িয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, যারা স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে অজ্ঞ, তারাই এভাবে শহিদদের অসম্মান করে। তারাই এইধরণের বিপর্যয় ঘটাতে পারে।