টিডিএন বাংলা ডেস্ক : বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কাশ্মীর থেকে কেরল। ‘ঈশ্বরের আপন দেশ’ কেরলে লাগাতার বৃষ্টি ও ধসের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। সোমবার থেকে ওই রাজ্যে বৃষ্টি কিছুটা কমলেও অন্যান্য রাজ্যে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টি ও ধসে মারা গিয়েছে ৫জন। পাশাপাশি বৃষ্টি শুরু হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানা, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায়।
কেরলের পর বৃষ্টির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বাড়িয়েছে উত্তরাখণ্ডে। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ধস নামে পাহাড়ে। এখনও পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে ছিলেন নেপালের ৩ শ্রমিক। বোল্ডার চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাদের। আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক বিজয় কুমার। এর পাশাপাশি চম্পাওয়াত জেলাতেও ধসের কারণে বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের। অন্যদিকে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে চারধাম যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। শীঘ্রই আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা নেই। আগামী কিছুদিন উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জারি করা হয়েছে লাল সর্তকতা। বৃষ্টির কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে হিমাচল প্রদেশেও। তুষারপাতে বন্ধ মানালি-লেহ হাইওয়ে। আটকে পর্যটকরা। বৃষ্টি ও তুষারপাতে কাঁপছে কাশ্মীরও।
এদিকে কেরলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫। নিখোঁজ প্রায় জনা দশেক বাসিন্দা। ১০টি বাঁধের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি উদ্ধার কাজে নেমেছে সেনা। বিপদ কাটার আগে আবহাওয়া দফতরের নতুন পূর্বাভাস উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ২০ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কেরলের বিস্তীর্ণ অংশজুড়ে জারি রয়েছে হলুদ সর্তকতা। বিপর্যয় এর মাঝে থেমে নেই রাজনীতি। বিপর্যয়ের আগাম সর্তকতা থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের কংগ্রেস নেতা ভিডি সাথিসান। যদিও তা অস্বীকার করেছেন পিনারাই বিজয়ন সরকার।