পাকিস্তানে ভাঙা মন্দির পুনঃনির্মাণ, উদ্বোধনে প্রধান বিচারপতি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়াতে শ্রী পরমহংস মহারাজ মন্দিরটি ভেঙে ফেলে ছিল অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার খবর প্রকাশিত হতেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ। নির্দেশ দিয়ে ছিলেন সরকারি তত্তাবধানে ভাঙা মন্দিরটি পুনঃনির্মাণ করে দিতে হবে। মন্দিরটি নতুন করে তৈরি করার পরে তা উদ্বোধন করলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি গুলজার আহমেদ। প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বরে পাকিস্তানের শ্রী পরমহংস মহারাজ মন্দিরে হামলা করে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃস্ক্রিতিরা। ভেঙে ফেলে মন্দিরটির বড় অংশ। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ছিলেন। নতুন করে গড়ে তোলা মন্দিরের উদ্বোধন করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমাদের সুপ্রিম কোর্ট সর্বদাই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। ভবিষ্যতেও তারা তা করবে।” তিনি আরও বলেন, “সংবিধান অনুসারে পাকিস্থানে অন্য ধর্মাবলম্বীর অধিকার যতটা, হিন্দুদের অধিকার ও ততটাই।” পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, প্রত্যেকে নিজের নিজের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে ভালবাসেন। তাই সেই প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার অধিকার কারও নেই। পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের চিফ পেট্রন তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ নেতা রাকেশ কুমার বলেন, তিনি পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞ। পাকিস্তানের করোক নামক জায়গায় মন্দির ভাঙা যে ঘটনা ঘটেছিল, প্রধান বিচারপতি দ্রুত তার প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। ঘটনার তীব্র নিন্দাও জানিয়ে ছিলেন। রাকেশ কুমার আরও বলেন, যদি পাকিস্তানের চারটি ঐতিহাসিক মন্দির খুলে দেওয়া হয়, তাহলে হাজার হাজার হিন্দু তা প্রদর্শন করতে পারবে। ফলে বিশ্বে পাকিস্তানের যে ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে তা অনেকটা ভালো হবে। পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের অবস্থান নিয়ে একটি নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। যদি সব ধর্ম মিলে একটি সম্মেলন করা যায় তাহলে সেই নেতিবাচক ধারণা চলে যাবে।