টিডিএন বাংলা ডেস্ক: অভূতপূর্ব বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরাখন্ড জলমগ্ন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। চারিদিকে অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে , বন্যায় ভেসে নিয়ে যাচ্ছে মানুষ ঘরবাড়ি ! সেতু ভেঙে গেছে অনেক জায়গায় , সরকারি ভাবে এখনো পর্যন্ত ৪০ জনের মারা যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে সংবাদ মাধ্যমকে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নৈনিতাল জেলা , কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, যার ফলে উদ্বেগ বাড়ছে যে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। জেলা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্য গত দুই দিনে রাজ্যে কমপক্ষে ৪০ মারা গেছে।
নৈনিতালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অশোক যোশী বলেন জেলায় মৃতের সংখ্যা ২৭ পর্যন্ত যেতে পারে। “আমাদের কাছে একাধিক স্থানে আটকে থাকা মানুষের তথ্য আছে। আমাদের দল পাঠানো হয়েছে কিন্তু এই আবহাওয়ায় অপারেশন চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।”
নৈনিতাল জেলার কাঠগোদাম স্টেশনের একমাত্র রেলপথটি মঙ্গলবার গৌলা নদীর জলে ভেসে গিয়েছিল, রুটে থাকা ১২ টি ট্রেন বাতিল হওয়ায় শত শত যাত্রী আটকা পড়ে। ভূমিধসের কারণে জেলার এক ডজন জাতীয় ও রাজ্য মহাসড়কও বন্ধ।
পার্বত্য শহর নৈনিতাল কার্যত প্লাবিত দ্বীপে পরিণত হয়েছে, রাজ্যের বাকি অংশ থেকে টানা দ্বিতীয় দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ধ্বংসাবশেষ তিনটি রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। সোমবার বিকেলে নৈনিতাল-ভোয়ালী সড়ক অবরুদ্ধ থাকলেও নৈনিতাল-হলদোয়ানি সড়ক এবং নৈনিতাল-কালাডুঙ্গি সড়কও সন্ধ্যার মধ্যে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য অবরুদ্ধ করা হয়। নিকটবর্তী শহর ভোয়ালী, মুক্তেশ্বর এবং রামগড়ও সড়ক যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে।