টিডিএন বাংলা ডেস্ক : আজ নয়ডাতে জেওর বিমানবন্দর শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দর তৈরির জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছিল শ’খানেক পরিবারের জমি ও বাড়ি। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল পুনর্বাসনের। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিই সার! গত তিন বছরেও কথা রাখেনি সরকার।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা কেউ কথা রাখেনি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। ঝাঁ-চকচকে বিমানবন্দর করার জন্য রোহি গ্রামের বাসিন্দাদের উৎখাত করা হয়েছিল। যাদের বেশিরভাগই কৃষক। যোগী আদিত্যনাথ সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, জমি ও বাড়ির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকা ও পুনর্বাসন দেওয়া হবে। কিন্তু তিন বছর কেটে গেছে। আজ নতুন বিমানবন্দর উদ্বোধন হতে চলেছে। অথচ ওইসব কৃষকদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনও পূরণ করেনি যোগী সরকার। ফলে গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ, কিংবা শীতের হাড় কাঁপানো ঠান্ডা সহ্য করতে হচ্ছে ঝুপড়িতে থেকেই। কেউ কেউ আবার পশুদের জন্য বানানো তাঁবুতে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
নিকটবর্তী নাঙালাশরিফ গ্রামের ১৫টি পরিবারকে উৎখাত করা হয়েছে বিমানবন্দর প্রোজেক্টের জন্য। তাদেরও দিন কাটছে তাঁবুতে। সেখানে না আছে শুদ্ধ পানীয় জল না আছে বিদ্যুৎ সংযোগ। পরিস্থিতির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন জেওরের বিজেপি বিধায়ক ধীরেন্দ্র সিং। তার দাবি, জমি অধিগ্রহণের বিষয়টা খুব তাড়াতাড়ি হয়েছে। ফলে পরিবারগুলোকে ঠিকমতন ক্ষতিপূরণ বা পুনর্বাসন দেওয়া সম্ভব হয়নি। গৃহহীন পরিবারগুলিকে পুনর্বাসনের জন্য আরও সময় লাগবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ৩ বছর তো কম সময় নয়। আর কতদিন কাটলে হুঁশ ফিরবে সরকারের? প্রশ্ন তুলেছেন ভোগান্তির শিকার ওই পরিবারগুলি।