টিডিএন বাংলা ডেস্ক : রাশিয়া ও ইউক্রেনের দুই দেশের সঙ্গেই ভাল সম্পর্ক তুরস্কের। সেই সুত্রেই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে শান্তি বৈঠকের প্রস্তাব দিTurkeyয়েছিল তুরস্ক। তুরস্কের মধ্যস্ততায় রাশিয়া এবং ইউক্রেন মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। পাশাপাশি উভয় পক্ষই একটি চুক্তির কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। খবর প্রকাশ করেছে আলজাজিরা। অবশেষে তাহলে কী আলোচনার মাধ্যমে অবসান ঘটতে চলেছে এই ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের? খানিকটা এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে তুরস্ক।
প্রায় এক মাস হতে চলল এই যুদ্ধের। দুই দেশ একাধিকবার শান্তি আলোচনায় বসলেও এখনও মেলেনি রফাসূত্র। সম্প্রতি জেলেনস্কি বলেন, “যদি আমাদের এই মারণ যুদ্ধ থামানোর এক শতাংশ সুযোগও থাকে, আমি মনে করি সেই সুযোগ আমাদের নিতে হবে। আলোচনাই সেই সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, পুতিনের সঙ্গে আলোচনা সংলাপই একমাত্র উপায়। আমি মনে করি, আমরা দু’জন, আমি এবং পুতিন এই বিষয়টা নিশ্চিত করতে পারি।” ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, যদি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে না পৌঁছানো যায় তাহলে বুঝতে হবে, এটাই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু।
এদিকে দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনায় তুরস্কের প্রতি মধ্যস্তার আহব্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোচনা চলছে। শান্তি চুক্তি প্রসঙ্গে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘অবশ্যই, যুদ্ধ চলাকালীন এবং যখন বেসামরিক লোক নিহত হচ্ছে, তখন চুক্তিতে আসা সহজ নয়। তবে আমরা বলতে চাই যে, সেটি কিছুটা হলেও অর্জিত হওয়ার পথে। আমরা দেখতে পাচ্ছি দলগুলো (রাশিয়া-ইউক্রেন) একটি চুক্তির কাছাকাছি।’ তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী এই সপ্তাহে রাশিয়া ও ইউক্রেন সফর করেছেন। তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু দুই দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তুরস্ক জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বৈঠকের জন্যও তৈরি। তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুই বন্ধুদেশের শান্তির জন্য তারা দিনরাত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে তৃতীয়পক্ষ হিসেবে থাকতে পারেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান।
তবে এই আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ করতে রাজি হয়নি তুরস্ক। বলেন, ‘আমরা একজন সৎ মধ্যস্থতাকারী এবং সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করি।’ সেই বিষয়টি নিয়ে বলা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্রের বয়ানে বলা হয়েছে ছটি বিষয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়ার দাবি মতো ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা, নিরস্ত্রীকরণ এবং সুরক্ষার গ্যারান্টি। এছাড়াও নাত্সি মুক্ত ইউক্রেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার ভাষা ব্যবহারের বাধা দূর এবং ইউক্রেন থেকে ভেঙে যাওয়া জনবাস এবং ২০১৪ সালে রাশিয়া দখল করা ক্রিমিয়ার বর্তমান অবস্থা স্বীকার করার জন্যও চাপ দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার তরফে।