HighlightNewsদেশ

সমলিঙ্গে বিবাহ আইনি স্বীকৃতি পেল না শীর্ষ আদালতে, সুপ্রিম কোর্ট বড় ধাক্কা সমকামীদের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ৩-২ ভোটে সমলিঙ্গে বিবাহ আইনি স্বীকৃতি পেল না দেশের শীর্ষ আদালতে। সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া সংক্রান্ত বিতর্কে এবার সুপ্রিম কোর্ট বড় ধাক্কা খেল সমকামীরা। “ভারতীয় স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় সমলিঙ্গে বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া উচিত” এমনই একটি আবেদনকে কেন্দ্র করে সারা দেশ জুড়ে চর্চা শুরু হয় সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত কিনা। এই বিষয়ে ২টি ভাগে ভাগ হয়ে যায় দেশের মানুষ। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাও এই বিতর্কে লম্বা দাকে ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিলেও সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের বাকি তিন সদস্য তথা বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসীমা ভিন্নমত পোষণ করেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারও সমলিঙ্গের বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করে। যার ফলে শেষ পর্যন্ত সমলিঙ্গে বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি দিল না শীর্ষ আদালত।

আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নিজের রায়ে জানান, ‘রূপান্তরকামী কোনও পুরুষ যদি মহিলাকে বিয়ে করতে চান, বা রূপান্তরকামী কোনও মহিলা যদি পুরুষকে বিয়ে করতে চান, তাহলে তাঁরা তা করতে পারবেন।’ এদিকে বিচারপতি ভাট আজ নিজের রায়ে বলেন, ‘আদালত সমকামী দম্পতিদের জন্য একটি সামাজিক বা আইনি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারে না।’

এই মামলার শুনানি চলা কালে মামলাকারীদের পক্ষ থেকে মুকুল রোহতগি, অভিষেক মনু সিংঘভি, আনন্দ গ্রোভার, গীতা লুথরা, মেনকা গুরুস্বামীদের মতো আইনজীবীরা দাবি করেন, সকলেরই সমানাধিকার পাওয়া উচিত। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, সমলিঙ্গে বিয়ের বিষয় নিয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংসদ তথা দেশের আইনসভা। কেন্দ্রের জমা করা হলফনামায় বলা হয়েছিল, ‘সমলিঙ্গে বিবাহ আদতে শহুরে অভিযাত একটি ধারণা’। আদালতে কেন্দ্রের যুক্তি, সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Related Articles

Back to top button
error: