“বিজ্ঞান মিথ্যা বলে না, মোদি বলেন”, হু-র প্রকাশিত করোনায় মৃতের রিপোর্ট প্রসঙ্গে মোদি সরকারকে কটাক্ষ রাহুলের
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: “বিজ্ঞান মিথ্যা বলে না, মোদি বলেন”। করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রসঙ্গে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে বলা হয়েছে, সরকারি পরিসংখ্যানের বাইরেও ৪.৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। ওই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই এদিন ফের কেন্দ্রের মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন রাহুল।
শুক্রবার নিজের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ট্যুইট করে রাহুল লেখেন, “৪৭লাখ ভারতীয়র মৃত্যু হয়েছে করোনা মহামারীর কারণে। ৪.৮ লক্ষের নয়, যেটা সরকার দাবি করেছে। বিজ্ঞান মিথ্যা বলে না। মোদি বলেন।”
একইসঙ্গে, ওই সমস্ত মৃতের পরিবারকে সমস্ত রকম সহযোগিতা ও পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য দাবি জানান রাহুল। তিনি লেখেন,”ওই পরিবারগুলির প্রতি সম্মান করুন, যারা তাঁদের আপনজনদের হারিয়েছেন। ওঁদের অবশ্যই ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে সহায়তা করুন।”
47 lakh Indians died due to the Covid pandemic. NOT 4.8 lakh as claimed by the Govt.
Science doesn't LIE. Modi does.
Respect families who've lost loved ones. Support them with the mandated ₹4 lakh compensation. pic.twitter.com/p9y1VdVFsA
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) May 6, 2022
রাহুলের এই ট্যুইটের জবাবে পাল্টা আক্রমণ করে বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে কংগ্রেসের এই তথ্য ভুল। একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির মুখপত্র সম্বিত পাত্র বলেন, রাহুল গান্ধী ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি খাটো করার জন্য বারং বার চেষ্টা করেছেন এবং এই প্রক্রিয়ায় ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ভারতে ৪.৭ মিলিয়ন “অতিরিক্ত” কোভিভ মৃত্যু হয়েছে যা সরকারি পরিসংখ্যানের সর্বোচ্চ সংখ্যার দশগুণ এবং বিশ্বব্যাপী কোভিড মৃত্যুর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। শুধু তাই নয়, ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫ মিলিয়ন, যা সরকারি পরিসংখ্যান অর্থাৎ ৬মিলিয়নের দ্বিগুণেরও বেশি। এর আগে, কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা গণনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাণিতিক মডেলের ব্যবহারকে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে ভারতের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল এই “পরিসংখ্যানটি বাস্তবতা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন।”একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থাকেও “পরিসংখ্যানগতভাবে অসামাজিক এবং বৈজ্ঞানিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ” বলেও অভিহিত করা হয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে।