HighlightNewsদেশ

লখিমপুরকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা সুপ্রিম কোর্টের, আজ শুনানি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : লখিমপুরকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। আজ প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার এজলাসে শুনানি। লখিমপুরের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বললেও মামলাধীন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা কেন আন্দোলন করছেন, ২ দিন আগেই সেই প্রশ্ন তুলেছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্রমেই পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় আদালত হস্তক্ষেপ করল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শুনানির জন্য তিন সদস্যের বেঞ্চ করেছেন প্রধান বিচারপতি। লখিমপুর এলাকায় এখনও জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। সীতাপুর লখিমপুর এলাকায় ১২ ঘণ্টা ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ রাখা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ইচ্ছে করলে যে কেউ লখিমপুর যেতেই পারেন। তবে দল ভারি করে নয়। একসঙ্গে যেতে পারবেন বড়জোর ৫ জন। তবে লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে একটি বাক্য খরচ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সূত্রের খবর, বুধবার লখিমপুর পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর সঙ্গে ফোনে একপ্রস্থ কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পাশাপাশি দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্র। মোদি-শাহের চাপে অনেকটাই ব্যাকফুটে যোগী সরকার। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের হাতে আর ৮দিন রয়েছে। এরমধ্যে দোষীর শাস্তি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বহিষ্কার করা না হলে দেশজুড়ে তারা বড়োসড়ো আন্দোলনে নামবেন। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত। সূত্রের খবর, বিরোধী দল এবং কৃষকদের চাপের মুখে আত্মসমর্পণ করতে পারেন মন্ত্রীপুত্র আশিস মিশ্র। প্রশ্ন উঠছে, সেই জন্যই কি বুধবার দিল্লিতে অমিত শাহ ডেকে পাঠিয়েছিলেন অজয় মিশ্রকে? তাকেও কি পদত্যাগ করতে বলা হবে? সরকারি সূত্রের অবশ্য দাবি, শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়ে কোনও কথাই বলেননি শাহ। বৈঠক থেকে বেরিয়ে জুনিয়র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেন, “পদত্যাগ নিয়ে আমার উপর চাপ আসেনি।” তবে জল্পনা একটা থেকেই গেল।

Related Articles

Back to top button
error: