টিডিএন বাংলা ডেস্ক: এবার রাজ্যের বিরোধী দল আরজেডির সুরে সুর মিলিয়ে জাতিভিত্তিক জনগণনার পক্ষে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনা জরুরী। কিছুদিন আগেই বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, জাতিভিত্তিক জনগণনা না হলে তিনি দিল্লী পর্যন্ত পদযাত্রা করবেন। এর পরই তড়িঘড়ি তাঁর সঙ্গে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন নীতিশ কুমার। দলীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি তেজস্বীকে আশ্বস্ত করেন যে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই এই নিয়ে পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরি করেছে। এরপরই প্রমাদ গুনতে শুরু করে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তাহলে কি বিজেপির সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটতে চলেছে জেডিইউ-এর?
উল্লেখ্য, জাতিভিত্তিক জনগণনার প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে এসেছে বিজেপি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, এতে সাম্প্রদায়িক বিভেদ বাড়বে। তার পরেও বিজেপির সঙ্গে জোটে সরকার গঠন করা জেডিইউ নেতা তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের এহেন জাতিভিত্তিক জনগণনার পক্ষে সওয়াল বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তারকিশোর প্রসাদকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, “এই নিয়ে আলোচনা করব। সব দিক বিচার করব।”
প্রসঙ্গত, বিহারে শেষ জাতিভিত্তিক জনগণনা হয়েছিল ১৯৩১ সালে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালের সেই সময়ে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা নিয়ে একটাই রাজ্য ছিল। এরপর থেকে আর কখনো জাতিভিত্তিক জনগণনা হয়নি। বিহারের বিরোধী দল আরজেডির মতে বিহারে জাতিভিত্তিক জনগণনা দরকার। তাহলেই বঞ্চিত সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ পরিষেবা ঘোষণা করা যাবে। প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছে নীতীশ কুমারের স্বরেও। নীতিশ জানিয়েছেন, রাজ্যে জাতিভিত্তিক জনগণনা জরুরী। এই নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক হবে আগামী ২৭ মে। তিনি আরো জানিয়েছেন, এ বিষয়ে রাজ্যের সমস্ত দলের মতামত নেওয়া হবে এবং তারপরই মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পেশ করা হবে। সব দলের মধ্যে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে। যদিও সকলে নিজেদের মতামত জানায়নি বলেই মন্তব্য নীতিশের।