সাংবাদিক মোকতার হোসেন মন্ডলের ফেসবুক ভিডিও দেখে অসহায় লছিমুদ্দিনকে পাকা ঘর করে দিচ্ছেন শাজাহান মন্ডল

নিজস্ব সংবাদদাতা,টিডিএন বাংলা,নদীয়া: বর্ষায় ধসেছে মাটির দেওয়াল। ভেঙে পড়েছে টালির চাল। থাকার ঘর নেই। কোথায় থাকবেন? কি করবেন কিছুই ভেবে পাচ্ছিলেন না বছর ছেষট্টির অসহায় বৃদ্ধ। ২০ বছর ধরে একটা পাকা ঘর চেয়ে আসছিলেন অন্ত্যদয় তালিকাভুক্ত লছিমুদ্দিন সেখ। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে ভিডিও করে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছিলেন সাংবাদিক মোকতার হোসেন মন্ডল। তারপর নদিয়ার করিমপুর -২ ব্লকের দোগাছি মিয়া পাড়ার লছিমুদ্দিন সেখের পাশে দাঁড়ালেন পাশের গ্রাম ডোবা পাড়ার বিশিষ্ট সমাজসেবী শাজাহান মন্ডল। নিজে দায়িত্ত্ব নিয়ে লছিমুদ্দিনের ঘরের সব খরচ করছেন তিনি।
ইঁটের ব্যবসায়ী শাজাহান মন্ডল। সেই সঙ্গে আছে শপিং মল। মোকতার হোসেন মন্ডলের ভিডিও দেখেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন একটা ঘর করে দেবার। শাজাহান মন্ডল এই প্রতিবেদককে জানান, মোকতার হোসেন মন্ডলের ফেসবুক থেকে আমাদের পাশের গ্রামের একজন মানুষ এতো কষ্টে আছে তা জানলাম। তার মনে হল একটা ঘর করে দিই।


শাজাহান বিশ্বাসের এমন কাজে খুশি লছিমুদ্দিন সেখ।

https://fb.watch/69PbKkAHVL/

এভাবে অসহায় বৃদ্ধ লছিমুদ্দিনের পাশে দাঁড়ানোয় শাজাহানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা গ্রামও। প্রতিবেশী গোলাম সেখ বলেন, অনেকদিন থেকেই লোকটার ঘরের ওই হাল দেখে গ্রামের ভাটা মালিক শাজাহান মন্ডল ঘরটা করে দিচ্ছেন দেখে ভাল লাগছে। উনি এভাবেই অনেক অসহায় মানুষেরই উপকার করেন।

ফেসবুক পোস্ট দেখেই এলাকার ব্যাবসায়ী শাজাহান মন্ডল এই ঘর করে দিচ্ছেন

ধোড়াদহ-২ পঞ্চায়েত সদস্য মাইনুল মন্ডল বলেন, ওনার ঘরের জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। এবার নতুন লিস্টে নামও এসেছে। সমাজসেবী শাজাহান মন্ডল ভালো উদ্যোগ নিয়ে পাকা দেওয়ালের উপর টিন দিয়ে ঘরটা করে দিচ্ছেন। এবার নতুন ঘরের টাকা পেলে ছাদটাও হয়ে যাবে।

শাজাহান মন্ডল, সমাজসেবী

দোগাছি টিকরামপুরের মাওলাবক্স বলছিলেন, ফেসবুক পোষ্টে এতো কাজ হয় এতদিনে জানলাম, সত্যিই অসহায় মানুষের ভিডিও করে ভালো হয়েছে, অনেকের উপকার হচ্ছে।