বিশ্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গাজায় জারি ইসরাইলের ধ্বংসযজ্ঞ, প্রায় ৩ হাজার শিশু ও ২ হাজার নারী সহ ৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু
টিডিএন বাংলা ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের অব্যাহত বিমান হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে ৩ হাজারের মতো শিশু ও ২ হাজার নারী রয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে, আকাশপথে হামলার পর গাজায় এবার স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। ট্যাংক নিয়ে রাতভর এ অভিযান চালানো হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া সর্বশেষ কিছু তথ্য
– গাজার প্রায় ৪৫ শতাংশ ভবন পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করা হয়েছে।
– জাতিসঙ্ঘ পরিচালিত ২৯টিসহ ২১৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত।
– গাজার ১৪ লাখের মতো মানুষ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত।
– ১০১ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিহত। আহত শতাধিক।
– ৫০টি অ্যাম্ব্যুলেন্স আক্রান্ত। অর্ধেকেরও বেশি অকেজো হয়ে গেছে।
– উত্তর গাজার ২৪টি হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ।
– হাসপাতালগুলোকে ক্ষমতার ১৫০ গুণ বেশি চাপ নিতে হচ্ছে।
– বিদ্যুতের অভাবে ইনকিউবেটরে রাখা ১৩০টি নবজাতক মারাত্মক ঝুঁকিতে।
– গাজায় প্রতিদিন আনুমানিক ১৬৬টি শিশু অনিরাপদভাবে জন্ম নিচ্ছে।
পশ্চিমতীরে আরেক ফিলিস্তিনি শিশু নিহত
অধিকৃত ১৭ বছর বয়সী এক শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। আহত হয়েছে ১৪ বছর বয়সী আরেক শিশু। সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। উত্তর রামাল্লাহর জালাজোন শরণার্থী ক্যাম্পে অভিযান চালানোর সময় ইউসেদ হামদি হেইদাহ নামক ওই শিশুকে মাথা ও বুকে গুলি করে ইসরাইলি বাহিনী।
১৪ বছর বয়সী আরেক শিশুকেও অভিযানের সময় গুলি করা হয় বলে জানিয়েছে মেডিক্যাল সূত্র। আহত শিশু দুটিকে রামাল্লাহর হাসপাতালে নেয়া হলে হেদেইদাহকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হেদেইদাহর মৃত্যু নিয়ে মোট ১০৪ জন ফিলিস্তিনিকে অধিকৃত পশ্চিমতীরে গত ৭ অক্টোবর থেকে হত্যা করলো ইসরাইলি বাহিনী।
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি শিশুদের সংখ্যাকে হতভম্ব হওয়ার মতো ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে জাতিসঙ্ঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ বলেছে, শিশুদের এ হতাহতের ঘটনা ‘আমাদের বিবেকের ওপর কালিমা লেপন’।সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, গাজায় নিহত শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার।
ইউনিসেফের মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক আদেলে খোদর বলেন, ‘গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি আমাদের সম্মিলিত বিবেকের ওপর ক্রমবর্ধমান দাগ ফেলছে। খাবার, পানি, মেডিক্যাল সরঞ্জাদি, জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তা সেখানে ঢুকতে না দেয়ায় প্রতিদিন নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে। সূত্র : আলজাজিরা, নয়া দিগন্ত