টিডিএন বাংলা ডেস্ক: পাঁচ বছরের জন্য কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন সিদ্দারামাইয়াই। রাজ্যে আড়াই বছরের ক্ষমতার চুক্তির মতো কোনো ফর্মুলা নেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে। কর্ণাটকের মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী এবং কংগ্রেস বিধায়ক এমবি পাটিল বলেছেন, যদি এমন কোনও প্রস্তাব থাকে তবে, দলের হাইকমান্ড এবং সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল অবশ্যই রাজ্য ইউনিটকে তা জানাবেন।
প্রসঙ্গত, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ১৩মে এসেছে। ২২৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১৩৫টি, বিজেপি ৬৬টি এবং জেডিএস ১৯টি আসন পেয়েছে। ফলাফল আসার পরে, মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে কংগ্রেসে পাঁচ দিন ধরে মন্থন চলতে থাকে। সিদ্দারামাইয়া ও ডি কে শিবকুমারের দাবি নিয়ে ছিল দ্বন্দ্ব। হাইকমান্ড বেছে নেয় সিদ্দারামাইয়াকে। ডেপুটি সিএম পদে ডিকেকে রাজি করান সোনিয়া গান্ধী। ১৭মে, সিদ্দারামাইয়া এবং ডি কে শিবকুমার রাহুল গান্ধীর সাথে দেখা করেন। খাড়গে এবং রাহুলের সাথে দেখা করার পরে, শিবকুমার শেষ পর্যন্ত সোনিয়া গান্ধীর পরামর্শে ডেপুটি সিএম পদে সম্মত হন।
এদিকে, বিজেপি তামিলনাড়ু ইউনিটের সভাপতি আন্নামালাই ২১মে দাবি করেছেন, এক বছরের মধ্যে কর্ণাটক সরকারের পতন হবে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি কর্ণাটক সরকার এখন থেকে এক বছর পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। যদি ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া ২০২৪ সাল পর্যন্ত লড়াই না করেন, উভয়কেই নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া উচিত, কারণ সরকারের কাঠামোই ত্রুটিপূর্ণ। উভয় নেতাই ২.৫ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, কারণ উভয়েরই দলে ১০-১০জন নেতা রয়েছে। এটা কি ধরনের গঠন?
তিনি আরো বলেন, তাঁরা বিরোধী ঐক্যের কথা বলেন। খোদ কংগ্রেসেই যখন ঐক্য নেই, তখন বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হবে কী করে? এমনকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কেসিআর এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী নেতারাও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।