HighlightNewsরাজ্য

কারো বিপদ শুনলেই হাসপাতালে ছুটেন সমাজসেবী মোজাম্মেল হক

নিজস্ব প্রতিনিধি, টিডিএন বাংলা, নদীয়া:মুমুর্ষ কেউ হাসপাতালে ভর্তি! কোথাও রক্ত মিলছে না! হয়রান হচ্ছে পরিজনেরা! মানুষের এমন বিপদ শুনলেই তিনি আর ঘরে থাকতে পারেন না। সামাজিক দায়িত্ত্ববোধে ভর করেই তিনি ছুটে যান এলাকার বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কে। আর এভাবে ২২ বার বিরল গ্রূপের ও-নেগেটিভ রক্ত দিয়েছেন এই সমাজসেবী। জনদরদী মোজাম্মেল হক বিশ্বাসের বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের সেনপাড়া গ্রামে।

পেশায় কৃষিজীবী বছর আঠান্নর মোজাম্মেল হক আশির দশকে একবার ডিফেন্সের চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে যোগ দেননি তিনি। তার কথায়, ‘তিন মাস পূর্ণ না হতেও অনেক সময় ডোমকল, বহরমপুর, তেহট্টের বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংকে গভীর রাতেও ছুটতে হয়েছে। আর একাজে পাশে থেকে উৎসাহ দেয় আমার পরিবারও। আমার স্ত্রী মেহেবুবা বেগমও রক্ত দিয়েছেন ৭ বার। রক্ত দিলে নিজের শরীরও সুস্থ থাকে। এভাবে মানুষের সেবা করতে পারলে ভিতর থেকেই একটা আলাদা মানসিক শান্তি অনুভূত হয় টাকায় যার মূল্য হয়না।’

উল্লেখ্য, কদিন থেকেই রক্তাল্পতায় ভুগছিলেন মর্জিনা বিবি নামের এক গৃহবধূ। এমনিতেই ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে চলছে চরম রক্ত সংকট। ডাক্তার জানান, ডোনার রেডি না করে ভর্তি করে লাভ হবে না। হন্যে হয়ে কোথাও ও-নেগেটিভ ডোনার পায়নি পরিবার। অবশেষে ‘থানারপাড়া রিলিফ ওয়ার্ক’ নামক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হোয়াটসআপ গ্রূপের মাধ্যমে খবর পেয়ে নিজেই ফোন করেন রোগীর পরিজনকে। এদিন ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে ২২ তম রক্তদান করেন তিনি। তার রক্তে আপাতত সুস্থ মর্জিনা বিবি। মোজাম্মেল হক বিশ্বাসের এই মহানুভবতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রোগীর পরিজনসহ রক্তদানে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা গুলিও।

Related Articles

Back to top button
error: