টিডিএন বাংলা ডেস্ক : নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয় হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সুপারিশ কমিটির বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের ভার দেয় সিবিআই-এর উপর। ওই রায়ে বলা হয়, জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিকের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটি ২০১৯ সালে রাজ্য সরকার গঠিত কমিটির বিরুদ্ধে তদন্ত করবে এবং ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টও জমা দিতে হবে আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয় ২১ মার্চ। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দু’দিন আগেই শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)।
কিন্তু সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের কপি না থাকায় ওই দিন এই মামলা শুনতেই চায়নি বিচারপতি সৌমেন সেনের ও বিচারপতি অজয় মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সার্ভার কপি পাওয়ার পর মামলা করতে হবে বলে জানিয়ে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার সকালেই ফের একক বেঞ্চের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় কমিশন। মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর।
উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালে নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগের জন্য এসএলএসটি পরীক্ষা হয়। সুমনা লায়েক নামে এক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, তালিকায় আগে নাম থাকা স্বত্ত্বেও তাঁকে নিয়োগ করা হয়নি। অথচ তালিকার নীচে থাকা পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছে। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। অন্যদিকে শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলে নাম নেই এবং পরীক্ষায় বসেননি, অথচ চাকরি পেয়েছেন কয়েক জন, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছে হাই কোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ২০১৬ সালের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। অন্য দিকে, যে চাকরিপ্রার্থীরা পাশ করেছেন, তালিকায় নাম রয়েছে, অথচ তাঁদের অনেকের নিয়োগ হয়নি। এসএসসি-ও অবশ্য এই অনিয়মের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। গত ৪ জানুয়ারি এসএসসি-র চেয়ারম্যান এ নিয়ে তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট জমা দেন। সেখানেও উল্লেখ করা হয়েছে তালিকার বাইরে লোকেদের নিয়োগ করার কথা। এই সব দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হোক এই দাবিতে বার বার সরব হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। বিক্ষোভ, আন্দোলন চলেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।