রাজ্য

পুকুরের জল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার বীরভূমে, পরিবারের দাবি খুন!

কৌশিক সালুই, টিডিএন বাংলা, বীরভূম: নিখোঁজ থাকার পর পুকুরের জল থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার হালসত গ্রামে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি খুন করে পুকুরের জলে মৃতদেহ লোপাট এর জন্য ফেলে দেওয়া হয়েছিল। যদিও পুলিশ খুনের তত্ত্ব অস্বীকার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত যুবক হলেন ঝণ্টু বাগদী, বয়স ২৩ বছর। বাড়ি দুবরাজপুর থানার হালসত গ্রামে। পেশায় তিনি ইটভাটার শ্রমিক। ৬ মাস আগে তার বিয়ে। বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় স্থানীয় তালবোনা পুকুর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি গত বুধবার রাত্রে গ্রামে সরস্বতী বিসর্জন ছিল। সরস্বতী প্রতিমা নিয়ে গ্রামে শোভাযাত্রার পর স্থানীয় লায়েক পুকুরে বিসর্জন করা হয়। ঝণ্টু বিসর্জনের শোভাযাত্রায় গিয়েছিল কিন্তু রাত্রে আর বাড়ি ফেরেনি। গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিবেশী ও বাড়ীর লোকজন খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু তাকে খুঁজে পায়নি। এদিন সকালে স্থানীয় পুকুরে মহিলারা স্নান করতে গেলে তাঁদের পায়ে ঝণ্টুর মৃতদেহ স্পর্শ হয়। বাড়ীর লোকজনকে খবর দেওয়া হলে তাঁরা ছুঁটে আসেন ঘটনাস্থলে। তারপর খবর যায় দুবরাজপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে জল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরিবার প্রতিবেশী লোকজনদের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে এবং মৃতদেহ লোপাটের জন্য পুকুরের জলে পাথর চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। যদিও দুবরাজপুর থানার পুলিশের দাবি পুকুরের সরস্বতী প্রতিমার বিসর্জন করতে গিয়ে জলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। তালবোনা পুকুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয় এবং লাইক পুকুরে সরস্বতী প্রতিমা বিসর্জন হয়েছিল। মৃত যুবকের দিদি দিপালী বাগদি বলেন,” ভাইকে খুন করে জলে পাথর চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল”।

Related Articles

Back to top button
error: