রাজ্য

বাংলা নয়, হিন্দু নববর্ষ দাবি দিলিপের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ১লা বৈশাখ সকলকে হিন্দু নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই প্রথম ১লা বৈশাখকে কোন ব্যক্তি হিন্দু নববর্ষ বলে সম্বোধন করলেন। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ জুড়ে যে পরিবর্তনের ডাক দেওয়া হয়েছে তা যে কি পরিবর্তন নিয়ে আসবে তা এই শুভেচ্ছাবার্তায় স্পষ্ট করেছেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের এই ফেসবুক পোস্ট কে নিয়ে ইতিমধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিজেপি সমর্থকদের একটি অংশ মনে করছেন যে এই পোষ্ট বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নয়। তাই এতে আখেরে ভারতীয় জনতা পার্টি বাঙ্গালীদের আরো দূরে সরে যাবে।

তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি সৌগত রায় এই ধরনের পোস্ট কে সরাসরি মেরুকরণের রাজনীতি বলে মন্তব্য করেছেন। দমদম লোকসভার এই প্রবীণ সাংসদ মন্তব্য করেন যে এই বিভাজনের রাজনীতির শুধু সাম্প্রদায়িকভাবে মানুষকে বিভাজিত করবে না বরং বাংলার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে ছাড়বে।
ঐতিহাসিকদের মতে বাংলা সন গণনা শুরু হয় মোঘল আমলে। মোঘল বাদশা আকবরের সময় ষোড়শ শতাব্দীতে কর সংগ্রহের জন্য সৌরবর্ষের এই হিসাব চালু হয়। কিন্তু দিলীপ ঘোষের দাবি বিভিন্ন লোকো কথা ও বিক্রম সংবাদ অনুযায়ী বাংলা সাল শুরু হয় ৫৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে।

“বিক্রম সম্বত পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ক্যালেন্ডার। এটা ভারতের গর্ব। আমরাই বিশ্বের মধ্যে সর্বপ্রথম বৎসর গণনা করা শুরু করি” বক্তব্য দিলীপ ঘোষের। ঐতিহাসিকদের মতে বিক্রম সম্বত শুরু হয় ৫৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে। কিন্তু বাংলা ক্যালেন্ডার শুরু হয় ৫৯৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে। সেই অনুযায়ী বাংলা বর্ষ এখন ১৪২৮ যা বিক্রম সম্বত অনুযায়ী ২০৭৮ হওয়ার কথা ছিল। ঐতিহাসিকদের মতে দিলীপ ঘোষের কথা হাস্যকর হলেও তার বক্তব্যের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট। বাংলা নববর্ষেও বিভাজনের রাজনীতি করতে তিনি ছাড়ছেন না। শুভময় মিত্র, সুগত বসু, রজত কান্ত রায়ের মতো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব এই বক্তব্যকে নানানভাবে সমালোচনা করেছেন।

Related Articles

Back to top button
error: