Highlightরাজ্য

রান্না করে বাড়িতে বাড়িতে রাত জাগেন মহিলারাও, পাশের বাড়ির মেয়েরা এক সঙ্গে পড়ে কুরআন

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কলকাতা: ইফতারের রান্না করে বাড়িতে বাড়িতে রাত জাগেন মহিলারাও, পাশের বাড়ির মেয়েরা এক সঙ্গে পড়ে কুরআন। বহু আগে থেকেই এমনটা চলে আসছে। কোথাও কোথাও শবেকদরের খোঁজে মসজিদে রাত জাগেন মুসলিম নারীরা। গ্রামে দেড়টায় উঠে সাহারির রান্না করে খেয়েদেয়ে ফজরের নামাজ পড়ে কুরআন পড়ে মেয়েরা। কোনও কোনও জায়গায় দুপুরেও কুরআন পড়া হয়। আবার রমজানের শেষ দশ দিনে বহু জায়গায় মহিলারা নিজ নিজ বাড়িতে বা পাশের বাড়িতে রাত জাগেন। এ সময় কুরআন পড়া, নামাজ পড়া,দোয়া ছাড়াও মুনাজাত হয়।

পুরুষদের অনেকে যখন মসজিদে রাত জাগেন তখন মেয়েরাও ঘরে বসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করেন।
নদিয়ার করিমপুরের কাঁঠালিয়ার গৃহশিক্ষিকা সালমা সুলতানা টিডিএন বাংলাকে জানান,ছোট থেকে শুনেছি, শবেকদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।তাই রমজান মাসের শেষ দশ রাত্রি বিশেষ করে একুশ,তেইশ,পঁচিশ,সাতাশ ও ঊনত্রিশে আমরা শবেকদর তালাশ করি। পাড়ার সকলে মিলে মেয়েরা কোরান তেলায়ত,নামাজ আদায় করে থাকি। আমাদের পাপ দুর করার জন্য ও মনের ইচ্ছা পূরন করার জন্য দোয়া করি। এ সময় সব সময় মনে পড়ে,আল্লাহতালা এই রাত্রিতে বান্দাদের দোয়া কবুল করে নেন। আমরা যদি সেই লাইলাতুল কদর পেয়ে যায় তাহলে এর চেয়ে সৌভাগ্যের আর কী থাকতে পারে।

জামায়াতে ইসলামী হিন্দের উত্তর চব্বিশ পরগনার মহিলা নেত্রী মাফুজা খাতুন বলেন,আগে কমিউনিটি হলে দেড়শো দুশো জন রাত জাগতাম। এবার সব ছোট ছোট করে বাড়িতে বাড়িতে কুড়ি পঁচিশ জায়গায় জাগা হচ্ছে। কিন্তু করোনার মধ্যে একটা ভয়,আতঙ্ক ও আশা নিয়ে রোজা রাখছি। বহু কর্মী করোনা আক্রান্ত, সবার কাছে দোয়া চাইছি।

বারবাকপুরের কলেজ ছাত্রী তামান্না রাত্রি জাগরণের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, লায়লাতুল কদর অনেক উত্তম একটা রাত। এক মাস রোজা রেখে নামাজ তারাবি পড়ার পর যখন আমরা এই রাত কে পায় আমরা ইবাদতে নেমে পড়ি। মা,বাবা একসাথে সবাই মিলে নামাজ কালাম দোয়া-দরুদ কোরআন তেলাওয়াত করি। রমজানের মধ্যে একটা আনন্দ থাকে,এটা কেবল সেই উপভোগ করতে পারে যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য রোজা রাখে।

Related Articles

Back to top button
error: