রাজ্য

বিধানসভা নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ইতিহাস সৃষ্টি করলো তৃণমূল কংগ্রেস : জামাআত

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জীর হাত ধরে তৃণমূলের কংগ্রেসের বিজয়ের জন্য মমতা ব্যানার্জী ও তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানালেন জামাআতে ইসলামী হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি আব্দুর রফিক। সেইসঙ্গে বাংলার জনগন সুচিন্তিত ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে সরকার গঠনের যে রায় দিয়েছেন তাঁর জন্যও তিনি রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।

সংগঠনের রাজ্য সভাপতি আব্দুর রফিক এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে জানান, একুশের মহা সংগ্রামে সাম্প্রদায়িক শক্তির পরাজয়ে বাংলার জনগণের রাজনৈতিক সচেতনতার প্রকৃষ্ট প্রমাণ দেশবাসী প্রত্যক্ষ করল। বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সদ্ভাব ও সৌহার্দের। সামাজিক রক্ষণশীলতার উর্ধ্বে অবস্থান গ্রহণ করার বৈশিষ্ট্য এ রাজ্যের জনগন উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়েছেন। এবারের ভোটে জনগণ সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। সামাজিক মেরুকরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তি। সংখ্যাগুরুর ভোট পেয়েছে তৃণমূল, তেমনি সংখ্যালঘুরও ভোট পেয়েছে দলটি। দেশ ও রাজ্যের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে সংখ্যালঘুরা। নিরাপত্তার কেবল অভাব বোধ করেই সংখ্যালঘুরা তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে এধরনের নেতিবাচক মন্তব্যর সঙ্গে আমরা একমত নই। তিনি আরও জানান, জামাআতে ইসলামী হিন্দ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাস্ত করতে ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তির পক্ষে ধর্মমত নির্বিশেষে ন্যায়ানুগভাবে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। সিভিক সোসাইটির ভূমিকা এ ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য। যাইহোক, এই নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেসের একবারে শোচনীয় পরাজয় এবং বিজেপির একমাত্র প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ আগামী দিনে রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে কি ধরণের প্রভাব ফেলবে তো ভাবনার বিষয়।

Related Articles

Back to top button
error: