সাহিত্যসাহিত্য ও সংস্কৃতি

গল্পের নাম:- “রিজু বাঁচতে চেয়েছিলো” গল্পকার:-মোস্তফা কামাল (পর্ব-৫)

গল্পের নাম:- “রিজু বাঁচতে চেয়েছিলো”
গল্পকার:-মোস্তফা কামাল
(পর্ব-৫)

আর একসপ্তাহ পর রিজুর প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। কিন্তু সে অসুস্থ হয়ে পড়লো। দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে ও। পরীক্ষায় বসতে পারলো না। যখন সুস্থ হলো তখন পরীক্ষা শেষ। অর্থাৎ রিজুর একবছরের কষ্ট একেবারেই জলে গেল। তার শরীর ভীষণ দূর্বল। একটু ভালো খাওয়া দাওয়া দরকার। সে পাবে কোথায়? দুর্বল শরীর নিয়ে সে নূর ভাইকে সাথে করে কলেজে অধ্যক্ষের সাথে দেখা করলো। একটা দরখাস্ত জমা দিলো। অনুরোধ, অধ্যক্ষ মহাশয় যেন দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সুযোগ দেন। কিন্তু সে হবার সম্ভাবনা খুবই কম। আল্লাহর অশেষ রহমতে ও বাবা মায়ের দোয়ায় একসপ্তাহ পর তাকে জানিয়ে দেওয়া হলো যে তাকে শর্তসাপেক্ষে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সুযোগ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় বর্ষের টেস্ট পরীক্ষা যদি খারাপ হয় তাহলে কলেজ থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। রিজু এই শর্ত মাথা পেতে নিলো। এটাও একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ ছিল তার।

দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় বাংলা বিভাগ থেকে রিজু সর্বোচ্চ নম্বর পেলো। স্যারেরা খুশি হলেন!এই সময়ে অমানুষিক পরিশ্রম করতে হয়েছিলো রিজুকে। কলেজ লাইব্রেরী থেকে বই নিয়ে রাতদিন পড়তো আর নোটস তৈরি করে প্রাইভেট পড়ার ঘাটতি মেটাতো। বাবার হাতের লেখা অসাধারণ সুন্দর ছিল। তাই বাড়ি এলে তিনিও ঐ সময় কিছু নোটসের কপি করে দিয়ে ছেলে রিজুকে সাহায্য করতেন।

মাঝে মধ্যে অর্থের জোগান দিতে বাবাকে খুব বেগ পেতে হতো। তখন সামান্য বেতন তার। সংসার বড়ো। এদিকে বড়ো ছেলে বাইরে। সুতরাং হিমসিম খেতে হতো। রিজু সব বুঝতো। কলকাতায় থাকার সময় অনেক কিছু খেতে ইচ্ছে করতো তার। ইচ্ছাই রয়ে গিয়েছিল। টাকা পয়সা ফুরিয়ে গেলে বাড়ি চলে যেতো। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম টাকা নিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে কলকাতা চলে আসতো। টিকিটের টাকাটা বাঁচলে সেটা দিয়ে আরও দুদিন নিশ্চিন্তে চলতো। বাবা আশ্বাস দিয়ে বলতেন, “সামনে বেতন হলে মানি অর্ডার করে পাঠিয়ে দেবো।”বাবার কথা শুনে কোলকাতায় এসে বদ্ধ কুঠুরিতে বসে পিওনের অপেক্ষায় থাকতো।

রিজু বাড়ি থেকে কলকাতায় আসার সময় মাঝে মধ্যে পুবপাড়ায় পিসির সঙ্গে দেখা করে আসতো। এই পিসিকে নিয়ে, তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া নিয়ে তাকে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে । বাবা একদম পছন্দ করতেন না। রিজুও অকৃতজ্ঞের মতো ছাড়তে পারতো না।

পিসি (ফুপু)র সঙ্গে রিজুর পরিচয় হয় মৌরিয়ার সম্পর্ক দিয়ে। রিজু পিসিকে ফুফু বলে ডাকতো। পিসির পাঁচ ছেলে দুই মেয়ে। সবার গায়ের রং বেশ কালো। পিসিও খুব কালো। ওরা দেখতে সুন্দর না হলেও প্রত্যেকের মনটা ছিল সুন্দর । পিসির বড়ো মেয়ের সঙ্গে মৌরিয়ার বন্ধুত্ব ছিল। সেই সূত্র ধরেই ওরা রিজুদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। রিজুকে ওরা বারবার যেতে বলতো। সে ঐসময় সে একটু ‘লাল পড়া’ ধরনের ছিলো। অর্থাৎ কেউ একটু ভালোবাসলে সেখানে বারবার যেতে মন চাইতো তার। তাই স্নেহ ভালোবাসার আদর পেলে যে কোনো আত্মীয়ের বাড়ি খুব পছন্দের ছিল।ওর মেজ কাকা বলতেন, রিজু কুটুম ঝালাতে ভালো পারে। আসলে ওর বাবাদের মধ্যে আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগটা অত্যন্ত শিথিল। এখনো রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয়দের মধ্যে পারস্পরিক নিবিড় সম্পর্ক সে দেখেনি। সুতরাং গোষ্ঠিগত ভাবে রিজুরা সংখ্যাধিক্য হলেও যোগাযোগের অভাবে গ্রামে তারা সংখ্যালঘু হয়ে থাকতো।।

যে যাই বলুক ওদের ভালবাসার এক পবিত্র সম্পর্কে রিজু জড়িয়ে যায়। ওদের সঙ্গে রক্তের কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ তার জন্য ওদের এতো স্নেহ ভালোবাসা! ওদের ভালোবাসায় রিজু আজ আপ্লুত।সত্যি বলতে কী তার আত্মীয় স্বজনের নিকট থেকে এতো ভালোবাসা সে কোনদিনই পায়নি। তার সঙ্গে কিছুদিন দেখা না হলে পিসি পাগলের মতো কাঁদতেন। রিজু গেলে তার কপালে চুমু খেতেন বারবার। হাতদুটো ধরে কেঁদে কেঁদে বলতেন, “তুমি কলকাতা চলে গেলে আমি থাকবো কী করে বাবা!! আমি যে মরে যাবো গো!!!”

এ কান্না সহজে থামতো না। রিজু বলতো, ”আপনাদের ছেড়ে আমারও খুব কষ্ট হবে পিসি।দোয়া করবেন যেন বড়ো হতে পারি।”

——– ”প্রত্যেক নামাযের পর তোমার জন্য খোদার কাছে দুহাত তুলে দোয়া করি বাবা। তুমি যেন মানুষ হয়ে বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করো। কিন্তু বাবা, আমাকে ভুলোনা কোনদিন। মরে গেলে তোমার হাতের মাটিটা যেন আমি পাই।”

মাথায় হাত বুলিয়ে রিজুকে প্রাণভরে আশীর্বাদ করতেন। উৎসাহ দিতেন। শিক্ষা দিতেন, বাবা মায়ের অবাধ্য যেন না হই কখনো। এমন মানুষটিকে ভালো না বেসে থাকা যায়? পিসি-ছেলের এই সম্পর্ককে বাবা কোনদিন বুঝতে চাননি।

পিসিদের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত করুণ। পিসে মশাই বিড়ি বেঁধে সংসার চালান। পিসি মুরগি পালন করে ডিম বিক্রি করে সামান্য কিছু পান। অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যেও কোলকাতায় আসার সময় রিজুর হাতে তিনি সাধ্যমতো কিছু টাকা ধরিয়ে দিতেন। রিজুর মনে হতো এ যেন মরুভূমির মধ্যে এক পশলা বৃষ্টি। তার তো অনেক আত্মীয় স্বজন ছিল। তারা তো কোনদিন এমনটি করেননি। পিসি করতেন।তিনি যেন আপন পিসির চেয়েও বড়ো। মা চিড়ে মুড়ি দিতেন। নারকেলের লাড্ডু বানিয়ে দিতেন পিসি। রিজু কলকাতার ছাত্রাবাসে বসে খেত আর মনে করতো ওদের ভালোবাসার কথা। পুলকিত হতো। মনে জোর পেতো।

পিসিদের বাড়ির পিছনে একটিই আমের গাছ ছিল। খুব সুস্বাদু। রিজু ঐ আম খেতে খুব পছন্দ করতো।কচি আম কেটে লবন মাখিয়ে দিত শালিনী। প্রাণভরে রিজু খেতো। একবার গাছের সমস্ত আমগুলো কুঠিতে পাকাতে দিয়ে পচিয়ে দিয়েছিলেন পিসি। বাড়ির সবাই পাকা আম খেতে চেয়েছিল। কিন্তু রিজু না যাওয়ায় তিনি কুঠি খুলে সেই আম কাউকে দেন নি। তিনি বলেছিলেন, “রিজু আমার বড়ো ছেলে। ও এলে কুঠি খুলবো। ও না এলে ঐ আম আমি খেতে পারবোনা।”

ঐসময় তার যাওয়া হয়নি। আমও কেউ খেতে পায়নি।সব পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বাড়ির সবাই হাসিমুখে তা মেনে নিয়েছিলো। পিসির এই ভালোবাসায় রিজু সারাজীবন ঋণী হয়ে আছে। এ ঋণ শোধ হবার নয়।

শালিনী পিসির বড়ো মেয়ে।তার ডাগর ডাগর নিস্পাপ চোখ দুটো যেন কিছু প্রকাশ করতে চাইতো। বিষয়টি রিজুকে ভাবাতো। তবুও অতো সতো পাত্তা দিতো না। কিন্তু একটা সময় ওদের অকৃত্রিম ভালোবাসার কাছে রিজু দুর্বল হয়ে পড়ে। বুঝতে পারে শালিনী তাকে ভালোবেসে ফেলেছে। রিজুরও ওর প্রতি কেমন যেন একটা টান অনুভব করে। ওকে না দেখলে তারও ভালো লাগেনা । রিজু বুঝতে পারে, কখন যেন ও শালিনীকে ভালোবেসে ফেলেছে। সে মনোস্থির করে বড়ো হয়ে বাড়ির সম্মতিতে শালিনীর সঙ্গে পাকাপাকি সম্পর্ক তৈরি করবে। বাবার নজরে আনার জন্য ইচ্ছাটা ডায়েরির পাতায় লিখে ডায়েরিটা টেবিলে রাখে রিজু। বাবার নজরে এলে লেখার পাশেই তিনি মন্তব্য লিখে দিলেন, ”এটা কখনোই সম্ভব নয়।”

তার পরপরই তিনি ওদের বাড়ি গিয়ে পিসিকে অপমান করে আসেন। রিজু রেগে গিয়েছিল তার বাবার প্রতি। মনে হয়েছিল এই ধরনের আচরণ করে তিনি ঠিক করেন নি। আসলে ছেলে হারানোর ভয় সব বাবা মায়ের থাকে। তার বাবা ব্যতিক্রম নন। বাবার দিক থেকে সঠিক হলেও ছেলের দিক থেকে বাবার এই আচরণ সঠিক মনে হয় নি। সন্তানের প্রতি তিনি ভরসা হারিয়ে ফেলেছিলেন। তাকে বোঝাতে পারেনি যে রিজু তার অবাধ্য সন্তান নয়। তার অসম্মান হোক এমন কোনো কাজ তার দ্বারা হবে না। পিসি পিতার নির্দেশ মোতাবেক চলার অনুরোধ করতেন রিজুকে। বাবার নিকট থেকে অসম্মানিত হয়ে খুব দুঃখ করেই একবার বলেছিলেন, “আমাদের বাড়িতে এলে তোমার আব্বা খুব রাগ করেন। তুমি আর আমাদের বাড়ি এসো না বাবা। শালিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখো না। তুমি কথা দাও বাবা! কথা দাও , আমার কথা রাখবে!”

রিজু পিসির হাতদুটো ধরে কথা দিয়েছিল।তার হৃদয় ভেঙে খান খান হয়ে যাক তবুও পিসির কথা রাখবে সে।

সালটা তখন ১৯৯৪ । রিজুর অনার্সের পার্ট টু পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের জন্য টাকা দরকার। বাবার তখন বেতন হয়নি।বাধ্য হয়ে বাড়ির লাল এঁড়ে বাছুরটা ভাদুরিয়াপাড়ার গরুর হাটে আটশো টাকায় বিক্রি করতে হয়েছিলো। সেদিন একজন মারফত পিসি রিজুকে দেখা করতে বলেছিলেন। কিন্তু ও কথা দিয়েছিল তাদের বাড়ি যাবে না। কিন্তু পিসির জন্য সে সব করতে পারে। ফেরার পথে তার ডাকে সাড়া না দিয়ে পারলো না।

রিজুকে দেখে পিসি পাথরবৎ নীরব থাকলেন কিছুক্ষণ। হয়তো তার অন্তরে তখন ঝড় বইছে। দু’চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। রিজুও চুপচাপ বসে থাকলো।কিছুক্ষণ পর চলে আসার জন্য উঠতেই পিসি চাপা গলায় বললেন, ”বসো। কথা আছে।”

তারপর!.. তারপর!…… পিসির কী হৃদয় বিদারক কান্না! জোরে নয়, গুমরে গুমরে ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কান্না! যেন বুকটা ফেটে যাচ্ছে । হঠাৎই রিজুর ডান হাতটা ধরে তিনি তার বুকের উপর চেপে ধরেন। বলেন, ”আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে গো! তোমাকে ছেড়ে আমি কী করে থাকবো! আমি যে অন্য কিছু চাইনি। শুধু তোমার মুখ থেকে মধুর ডাক শুনতে চেয়েছি। তুমি কলকাতায় চলে গেলে কে আমাকে দেখবে গো।”

হায়! এ কান্নার মর্ম কে বুঝবে?কে দেবে মূল্য? পিসি একসময় অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। শালিনী চোখে মুখে জলের ঝাপটা দিলো।ও বললো, ” বড়ো আঘাত পেলে মা সইতে পারেন না, অজ্ঞান হয়ে পড়েন।”

কিছুক্ষণ পর পিসির জ্ঞান ফিরলো। উঠে বসবার চেষ্টা করতেই রিজু বাধা দিয়ে শুয়ে থাকতে বললো।ক্ষীণকণ্ঠে পিসি বললেন, —— ”তুমি আমাকে একেবারেই পর করে দিলে। তুমি এতোদিন আসনি কেন বাবা?”

——- আপনিই তো আসতে বারণ করেছিলেন। আপনাকে কথা দিয়েছিলাম আমি আর আসবোনা।

——-তোমার আব্বা রাগ করেন তাই বারণ করেছিলাম। তুমি ঠিক কাজই করেছো। কিন্তু আমি যে তোমাকে না দেখলে , তোমার সুন্দর মুখের ডাক না শুনলে শান্তি পাইনা বাবা!

রিজু কী জবাব দেবে? কী-ই বা বলবে? একটা টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে গিয়েছে ও। না পারছে তার বাবাকে ছাড়তে, না পারছে পিসির স্নেহ মমতাকে। কিন্তু একটা সিদ্ধান্ত তো নিতেই হবে রিজুকে। ও সিদ্ধান্ত নিলো, বাবার জন্য সম্পর্ক নষ্ট করে শালিনীর ভালবাসাকে অমর্যাদা করতে পারবেনা। একটা সময় বলেই ফেললো, “ধৈর্য্য হারাবেন না। আমাদের সম্পর্কে ফাটল যাতে না ধরে সেই ব্যবস্থা আমি করব। আমি বিয়ে করবো শালিনীকে। তখন আব্বা আর কিছু বলতে পারবেন না।”

———- এটা কখনোই সম্ভব নয়। তাহলে তোমার আব্বার কাছে আমি ছোট হয়ে যাবো বাবা।আমরা গরীব হলেও কারও কাছে ছোট হতে পারবো না। খবরদার তুমি ঐকথা আর কোনদিন একদম মুখে আনবে না।

রিজু ভাবলো, পিসি বোধ হয় তার পরীক্ষা নিচ্ছেন। ভরসা দেবার জন্য রিজু বললো, “কালকে কলকাতা চলে যাচ্ছি। সুতরাং আজকেই রেজেস্ট্রি বিয়ে করবো। আপনি রাজি কী না বলুন।”

——– যদি এটা করো তাহলে আমার মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকবে না বাবা। তোমার আব্বার অমতে শালিনীর সঙ্গে বিয়ে হোক আমি কোনদিন চাইনি। আমার স্নেহ ভালবাসায় কোনো স্বার্থ নেই। আমার মেয়ের থেকে তোমাকে বেশি ভালবাসি বাবা। তুমি আমাকে ভুল বোঝনা। তোমার আব্বা অনেক কষ্ট করে বড়ো আশা নিয়ে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন। তুমি ওদের দুঃখ দিওনা।

———শালিনীর চোখে জল। কারণ ও জানতো পিসির জন্যই ওকে এতো ভালোবাসে রিজু। তার অমতে ওকে রিজু কখনোই বিয়ে করতে পারবেনা ।আর বাবার অমতে পিসিও বিয়েতে মত দেবেন না। সুতরাং সমস্যার সমাধান শাঁখের করাতের মাঝেই রয়ে যায়। শালিনী চোখ মুছতে মুছতে ঘরে ঢুকে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে।

রিজু বুঝতে পারে পিসির ভালোবাসায় কোনো সংকীর্ণ স্বার্থ নেই। যদি থাকতো তাহলে এই সুযোগটা তিনি গ্রহণ করতেন। তার প্রতি রিজুর শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেল। হৃদয়ে পিসির আসন পাকাপোক্তভাবে জায়গা করে নিলো। রিজু মনে মনোস্থির করলো কোনদিন সুযোগ এলে বাবার মাধ্যমেই প্রস্তাব পাঠাবে সে। তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসাকে সম্মান দেবে। সে প্রতিষ্ঠিত হলে বাবা নিশ্চয়ই তার কথা রাখবেন।শালিনীকে সান্ত্বনা দিয়ে রিজু বাড়ি এলো।পরদিন কলকাতায়।শালিনী তার স্বপ্ন পূরণের আশায় পথ চেয়ে রইলো।

Related Articles

Back to top button
error: