পঠন-পাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিউটাউনে প্রতিবাদ সভা ছাত্র-যুবদের

ছবিঃ নিজস্ব

নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা : রাজ‍্য সরকারের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজারহাট নিউটাউনের চিনারপার্ক মোড়ে মানবন্ধের আয়োজন করে সংগঠনের রাজারহাট ব্লক। প্রতিবাদে সামিল হয়ে সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগণা জেলা সভাপতি গাজী তৈফিক ইসলাম বলেন, “৫০% উপস্থিতি নিয়ে যদি সিনেমা হল, পানশালা, সুইমিংপুল,শপিংমল, হোটেল,রেস্তোরাঁ এসব খোলা রাখা গেলে স্কুল কলেজ খোলা রাখা যাবে না কেন?”

তিনি আরও বলেন,” স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষার্থী এরই মধ্যে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে জীবিকার সন্ধানে রত, অনেক মেয়ে শিক্ষার্থীর পরিবার বিয়ে দিয়েছেন, স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, সেখান থেকে তাদের হয়তো ফিরিয়ে আনা যাবে না। আমরা জানি না আমাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।”

গাজী তৌফিক ইসলাম রাজ‍্য সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “করোনা বাড়লেই বারবার শিক্ষাঙ্গন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া কোন সমাধান হতে পারে না। জাতির মেরুদন্ড শিক্ষাকে বাঁচাতে গেলে কোভিড-বিধি মেনে শিক্ষাঙ্গন চালানোর জন্য একটি সার্বজনীন পদক্ষেপ গ্রহণ করার এখনই সময়। অবিলম্বে রাজ্য সরকারের উচিত শিক্ষাঙ্গন চালানোর জন্য বিকল্প কোন গঠনমূলক ও কার্যকারী পন্থা ঘোষণা করা।” এছাড়াও এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা নেতৃত্ব সহ পঞ্চাশ অধিক ছাত্র।

উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে ২২মাস পর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হলেও, রাজ্য সরকার পুনরায় ৩ জানুয়ারি থেকে সমস্ত শিক্ষাঙ্গন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার পরের দিনই ছাত্র সংগঠন এসআইও-র পক্ষ থেকে কলকাতার প্রাণ কেন্দ্র ধর্মতলাতেই স্কুল খোলার দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এবার সেই দাবীকেই সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শুরু করে মানবন্ধের মাধম্যে স্কুল খোলার দাবীতে সরব হয়েছে ছাত্রসংগঠন এসআইও।

এদিন তাদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি করা হয়। কোভিড-১৯ এর সতর্কতা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পঠনপাঠন জারি রাখতে হবে। স্কুলছুট সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি অন্তরায়। এই স্কুলছুট কোভিড-১৯ ও লকডাউনের কারণে মারত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধির হার রোধ করতে সরকারের উচিত আকর্ষণীয় এবং গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। স্কুলছুটদের পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছাতে হবে। ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে সমস্ত পড়ুয়াকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে হবে। ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন ও পুরো পদ্ধতি সরলীকরণ করতে হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পের আয়োজন করা যেতে পারে।