টিডিএন বাংলা ডেস্ক: জাতীয় সংগীত জনগণমন শব্দ পাল্টানোর আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন বড়িষ্ঠ বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ওই চিঠিতে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জনগণমন -র যে সংস্করণটি আজাদ হিন্দ ফৌজ বাহিনীর জন্য নেতাজি গ্রহণ করেছিলেন এবং প্রথমবার ১৯৪৩ সালের একুশে অক্টোবর মনিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ব্রিটিশ সৈন্যদের হঠিয়ে দেওয়ার পর আজাদ হিন্দ বাহিনী ব্যবহার করেছিল তা গ্রহণ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, ভারতের স্বাধীনতার পর কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদের দেওয়া বক্তৃতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, নিজের মন্তব্যের শেষে ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ সে সময় বলেছিলেন জাতীয় সংগীত হিসেবে “জনগনমন” এবং “বন্দেমাতরম” একই মর্যাদা সম্পন্ন। ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন, জনগণমন কিছু শব্দ পরবর্তী সময় পরিবর্তন করা যেতে পারে। ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ এর ওই মন্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে, আমাদের বর্তমান জাতীয় সংগীত “জনগণমন”-র শব্দ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই বলে উল্লেখ করেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “জনগণমন”-র যে সংস্করণটি বর্তমানে আমরা ব্যবহার করি সেখানে এমন কিছু শব্দ রয়েছে যেমন, “সিন্ধু” অঞ্চলটি স্বাধীনতার পরে ভারতের মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়নি কিন্তু আমাদের জাতীয় সংগীতে এর ব্যবহার রয়েছে। স্বামীর দাবি এর ফলে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরো বলেছেন ভারতের যুব সমাজের অনেকাংশের দাবি এটাই যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের যে সংস্করণটি আজাদ হিন্দ ফৌজ বাহিনীর জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু গ্রহণ করেছিলেন তাই আমাদের জাতীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহার করা হোক।
My letter to PM Modi on Jana Gana Mana pic.twitter.com/qc1KnLDb2g
— Subramanian Swamy (@Swamy39) December 1, 2020