HighlightNewsদেশবিনোদন

এনসিবি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করা আরিয়ান মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষীর হঠাত্‍ মৃত্যু! উঠছে প্রশ্ন

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খান মাদক মামলায় নাটকীয় মোড়। কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনসিবি-র বিরুদ্ধে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ করা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানের মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর শৈলের হঠাত্‍ মৃত্যুর খবর সামনে আশায় প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে নিজের ভাড়া বাড়িতেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা যান প্রভাকর শৈল। প্রভাকরের আইনজীবী তুষার খান্ডারে জানিয়েছেন, শুক্রবার মুম্বইয়ের চেম্বুরে মাহুল এলাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রভাকরের মৃত্যু হয়েছে। আরিয়ান খানের গোয়ার ক্রুজ শিপের রেভ পার্টিতে যাওয়ার খবর এই প্রভাকর শৈলই নাকি প্রথম দিয়েছিল এনসিবিকে।

আবার এই প্রভাকর শৈলই এনসিবি-র বিরুদ্ধে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, শাহরুখ-পুত্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ১৮ কোটি টাকার চু্ক্তি হয়েছিল এনসিবি-র সঙ্গে। প্রভাকর অভিযোগ করে ছিলেন, গোসাভিকে এনসিবি কর্তাদের সঙ্গে একাধিক বার ফোনে কথা বলতে শুনেছিলেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে এনসিবি। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছিল এনসিবি। তাদের যুক্তি ছিল, টাকাপয়সার লেনদেনের কথাই যদি হয় তাহলে আরিয়ান এতদিন জেলবন্দি থাকতেন না। গোসাভিকেও পালাতে হত না। এখন হঠাত্‍ করে সেই প্রভাকর সেইলের এই মৃত্যুর ঘটনায় কোনও রহস্য রয়েছে কিনা তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রভাকরের স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে। বৃদ্ধা মাও রয়েছে।

এই ড্রাগ মামলায় প্রভাবকর এনসিবির আরেক সাক্ষী কেপি গোসাইয়ের এর দেহরক্ষী ছিলেন। আরিয়ান খানের গ্রেফতারির পর আরিয়ান খানকে টেনে নিয়ে যোতও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আবার তিনিই প্রথম দাবি করেছিলেন কেপি গোসাইয়ের সঙ্গে এনসিবি সমীর ওয়াংখেড়ের টেলিফোনে একাধিক বার কথোপকথন হয়েছিল। আরিয়ান খানের মুক্তির জন্য এনসিবি মোটা টাকা দাবি করছে বলেও শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তার পরেই সমীর ওয়াংখেড়েকে বিরুদ্ধে সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছিল এনসিবি। তাতেই মূল সাক্ষী ছিলেন এই কেপি গোসাই এবং প্রভাকর শৈল। অন্যদিকে আরিয়ান খানের মাদক মামলায় আরেক সাক্ষী শ্যাম ডিসুজা দাবি করেছিলেন এই ঘটনায় প্রভাকর শৈল এবং কেপি গোসাইয়ের কোনও না কোনও হাত রয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: