HighlightNewsআন্তর্জাতিক

আমেরিকায় গর্ভপাত নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট, ‘দেশ ১৫০ বছর পিছিয়ে গেল’, বললেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: প্রায় পাঁচ দশকের পুরনো একটি আইনি সিদ্ধান্ত বাতিল করে শুক্রবার গর্ভপাত নিষিদ্ধ ঘোষণা করল আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট। একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, সংবিধান গর্ভপাতের অধিকার দেবে না। গর্ভপাত হবে কী হবে না তা স্থির করবে স্থানীয় প্রদেশের প্রশাসন। এই রায়ের ফলে আমেরিকায় আবারও নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে গর্ভপাত। অর্থাৎ নারীরা আর আইনি সুরক্ষায় থেকে তাদের গর্ভের ভ্রুণ স্বেচ্ছায় হত্যা করতে পারবেন না। এখন থেকে সেখানে ভ্রুণ হত্যাকে অপরাধ হিসাবে গন্য করা হবে। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের গর্ভপাত সংক্রান্ত এই রায়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রাকাশ করে একে দেশের জন্য দুঃখজনক বলে মন্তব্য করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই রায় নারীদের সাংবিধানিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে বলে মনে করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, ”আদালত আমেরিকাবাসীর সংবিধানপ্রদত্ত মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। যে ভাবে নারীদের অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হল, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের ফলে দেশ ১৫০ বছর পিছিয়ে গেল।”

পাঁচ দশক আগে ১৯৭৩ সালে ‘রো বনাম ওয়েড’ মামলার ঐতিহাসিক রায়ে আদালত সাংবিধানিক ধারা ব্যাখ্যা করে নারীদের গর্ভপাতের অধিকার দিয়ে ছিল। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, গর্ভের ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করানো যেতে পারে। কিন্তু শুক্রবারের এই ঐতিহাসিক রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, রো বনাম ওয়েড মামলায় মার্কিন সংবিধানের অপব্যাখ্যা হয়েছে। কিন্তু সংবিধানে এমন কোথাও কিছু বলা নেই যে এই অধিকার দেওয়া যেতে পারে।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ের একটি খসড়া প্রস্তাব প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশে জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সামনে গর্ভপাতের অধিকার রক্ষার পক্ষে মিছিল করেন একদল নারী। এরপর আদালতের রায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ভ্রুণ হত্যার প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামেন অপর একদল নারী। আদালতের সামনেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ভ্রুণ হত্যার পক্ষের ও বিপক্ষের নারীরা। তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করায় এই রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আরো জোরালো হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের মধ্যেই প্রায় ২৬টি প্রদেশ এই রায় মেনে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করতে প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে।Ame

Related Articles

Back to top button
error: