স্বেচ্ছামৃত্যুর যন্ত্র সারকো-কে অনুমোদন সুইস সরকারের

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : প্যাসিভ ইউথানেশিয়া বা স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্কের মুখে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিল সুইজারল্যান্ড সরকার। মৃত্যুর পথে ঢলে পড়তে সময় লাগবে এক মিনিটেরও কম। সারকো নামে প্যাসিভ ইউথানেশিয়ার যন্ত্রকে গ্রিন সিগন্যাল দিল সে দেশের সরকার। এই যন্ত্রের মূল ইউএসপি হলো, মৃত্যু হবে যন্ত্রণাবিহীন এবং খুব দ্রুত।

কীভাবে কাজ করবে সারকো? একটি ক্যাপসুলের আকৃতির কফিনে ঢোকানো হবে মৃত্যুপথযাত্রী ওই ব্যক্তিকে। সেই কফিন প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে ওই ব্যক্তির পছন্দের একটি জায়গায়। তারপর শুরু করবে মেশিন তার কাজ। এরপর কমতে থাকবে চেম্বারে অক্সিজেনের মাত্রা। ধীরে ধীরে এমন একটা অবস্থায় পৌঁছোবে যেখানে শরীরের কোনও অংশে অক্সিজেন পৌঁছাবে না। শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের অভাব দেখা দেবে। কফিনের মতো ওই বাক্সে ঢোকানো মাত্র ব্যক্তির আর নড়াচড়া করার বা কথা বলার ক্ষমতা থাকবে না। শুধু চোখের মনি বা পলক পড়বে। তা থেকেই সিগন্যাল নেবে সারকো। এই পদ্ধতিতে এক মিনিটেরও কম সময়ে অজানা এক দেশে পাড়ি দেবেন ওই ব্যক্তি।

আইনসিদ্ধ হওয়ার পরে সুইজারল্যান্ডে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৩০০ জন স্বেচ্ছামৃত্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে দেশে বেশ কয়েকটি সংস্থার রয়েছে। তারা শরীরের তরল ওষুধ প্রয়োগ করে প্রথমে কোমা, তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করে। ভারতের মতো অধিকাংশ দেশ স্বেচ্ছামৃত্যুকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে পরোক্ষ স্বেচ্ছামৃত্যু অর্থাৎ আর বাঁচার সম্ভাবনা নেই এমন রোগীর ভেন্টিলেশন বা ফিডিং টিউবের মতো জীবন দিয়ে মৃত্যু ত্বরান্বিত করতে সায় দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।