Tamilnadu-Rain: অতিবৃষ্টিতে জলমগ্ন তামিলনাড়ু, মৃত চার জন

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : অতিবৃষ্টির কারণে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে চেন্নাই-সহ গোটা তামিলনাড়ু। শনিবার থেকে একটানা প্রবল বর্ষণের ফলে বিপর্যস্ত চেন্নাইসহ গোটা তামিলনাড়ুর জনজীবন। এখনও পর্যন্ত মোট চার জনের প্রাণহানীর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে তামিলনাড়ু সরকারের তরফে। চেন্নাই, থেনি এবং মাদুরাই জেলাতে ঘটেছে এই প্রাণহানির ঘটনা। প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন হওয়ার ফলে ৭০টি বাড়ি এবং ২৬৩টি মতো কুঁড়ে ঘর ভেঙে গিয়েছে। ১ হাজার ৪০০-র বেশি মানুষ ত্রাণশিবিরে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, মঙ্গলবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রে জানাগিয়েছে, শনিবার সকাল থেকেই বৃষ্টিপাত চলছে তামিলনাড়ুর ৩৬টি জেলায়। অতিবৃষ্টিতে জলমগ্ন বহু এলাকা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, তামিলনাড়ুর চেন্নাই, চেঙ্গলপাট‌টু, কাঞ্চিপুরম এবং তিরুভাল্লুর জেলায় প্রায় সারা রাতই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি থামেনি সোমবারেও। মেরিনা ব্রিজ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। বৃষ্টিতে উপড়ে গিয়েছে অসংখ্য গাছপালা। অতিবৃষ্টির কারণে তামিলনাড়ুর জনজীবন প্রায় স্তব্ধ। বন্ধ রাখা হয়েছে তিরুভাল্লুর, চেঙ্গলপাটটু ও কাঞ্চিপুরমের সমস্ত স্কুল ও কলেজ। জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ রাখা হয়েছে অফিসও। বেসরকারি কর্মীদের প্রশাসনের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন বাড়ি থেকে কাজ করেন। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুর সমস্ত উপকূলবর্তী এলাকায় উদ্ধার কাজ শুরু করে দিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। চেন্নাইয়ে ট্রেন চলাচলও বিপর্যস্ত হয়েছে। সোমবার বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তিনি প্রশাসনকে দ্রুত জলমগ্ন অঞ্চলে ত্রাণ ও পানীয় জল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কোয়েম্বত্তূর, তিরুনিলভেলি-সহ একাধিক জেলায় খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। চালু করা হয়েছে জরুরিকালীন ফোন নম্বরও। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এই বিপর্যয় মকাবিলার জন্য কেন্দ্রের সাহায্য চেয়েছেন।