দেশ

পার্বত্য অঞ্চলে মাইনাসের নিচে তাপমাত্রা; দিল্লিতে জারি সতর্কতা, উত্তর ভারতে ঘন কুয়াশা, উত্তরপ্রদেশ-রাজস্থান সহ ৪ রাজ্যের স্কুলে ছুটি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই বেশ কয়েক ডিগ্রি নেমে গিয়েছে তাপমাত্রার পারদ। পাহাড়ি এলাকায় তাপমাত্রার পারদ মাইনাসের নিচে চলে গেছে। শ্রীনগরে, রবিবার রাতে পারদ নেমে যায় -৫.৪ ডিগ্রিতে। দিল্লিতে শীতের কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সোমবার, সকালে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা উত্তর ভারত। এই কারণে ফ্লাইট ও ট্রেন চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী ৫ দিনের জন্য উত্তরপ্রদেশে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। শীতের কারণে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান ও পাঞ্জাবের স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ঘন কুয়াশায় মানুষের সমস্যাও বেড়েছে। কুয়াশার কারণে, অনেক ট্রেন ও ফ্লাইট বিলম্বিত হচ্ছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুসারে, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ সহ সমগ্র উত্তর ভারতে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরের গুলমার্গে তুষারপাত হয়েছে। এরপর সেখানে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে। রবিবার রাতে, গুলমার্গের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১০ ডিগ্রি, পাহলগামে -৯.৫, শ্রীনগরে -৫.৪ এবং কুপওয়ারায় -৫.৭, জম্মুতে ৪.২ ডিগ্রি ছিল। আবহাওয়া দফতরের মতে, ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকাতেও তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে। এই কারণে সমতল ভূমিতে শীত বেড়েছে। রাজ্যের ডানকুন্ড, কালাতপ, আহলা ৬ ইঞ্চি বরফে ঢেকে গিয়েছে।
সোমবার সকালে, দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে, কুয়াশার সাদা চাদরে মোড়ানো দেখা গেছে অধিকাংশ এলাকা। একদিন আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দিনে রাজধানীতে তীব্র শীত পড়তে পারে।
মধ্যপ্রদেশের ভোপালে শীতের প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সকালে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় শহর। এদিন সকালে ভোপাল, গোয়ালিয়র, চম্বলে ঘন কুয়াশা দেখা যায়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫-৬ জানুয়ারিও পড়তে পারে মাভা। এর প্রবেশ হবে জবলপুর থেকে। এটি ভোপালের কাছাকাছি পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। এই কারণে তাপমাত্রার পারদ ৯ ডিগ্রি পর্যন্ত নামতে পারে। সম্পূর্ণ খবর পড়ুন…

অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে পাঁচ দিনের জন্য বরফ ঠান্ডা বাতাসের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি এদিন সকালে বারাণসীতে ছিল ঘন কুয়াশাও দেখা যায়। সোমবার রাজ্যের অনেক জেলায় কুয়াশার প্রভাব দেখা গেছে। এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। লখনউতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি। উত্তরপ্রদেশে ৫ দিনের জন্য বরফ ঠান্ডা বাতাসের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এর পরে, সোমবার, অনেক জেলায় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলের সময়ও সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত করা হয়। বারাণসী ও সাহারানপুরে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।
রাজস্থানেও ঠাণ্ডার প্রভাব দেখা গিয়েছে। বেশিরভাগ শহরে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রেকর্ড করা হয়েছে। সিকারের ফতেহপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে, চুরুতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিকানেরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৬.৪ ডিগ্রি। রাজ্যে তীব্র শীতের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে,বিহারের পাটনা, নালন্দা সহ অনেক জেলায় ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে বিহারের সব জায়গায় কুয়াশার প্রভাব রয়েছে। এর ফলে নিত্যযাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ভোর ৪টায় পাটনায় দৃশ্যমানতা ছিল ২৫ মিটার এবং তাপমাত্রা ছিল ছয় ডিগ্রির কাছাকাছি। এই কারণে পাটনা সহ অনেক জেলায় ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
পাঞ্জাবিও ঘন কুয়াশার প্রভাব দেখা গিয়েছে। সোমবার সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করে শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশা সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করেছে। আগামী ৪ দিন তাপমাত্রা ক্রমাগত কমার সতর্কতা জারি করেছে বিভাগ। এই কারণে পাঞ্জাব সরকার সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে ছাত্র-শিক্ষকদের ছুটি ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

Related Articles

Back to top button
error: