HighlightNewsরাজ্য

জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা নারায়নপুরে, বিক্ষোভ এলাকার বাসিন্দাদের, বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব সংবাদ, টিডিএন বাংলা: রাজ্য সরকার কর্তৃক জমি অধিগ্রহণ করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে নিউটাউন সংলগ্ন নারায়নপুরে। আজ বৃহস্পতিবার জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি নোটিশ নিয়ে নারায়নপুর এলাকায় আসেন ২ ব্যক্তি। কিন্তু এই ঘটনার খবর পেয়ে নারায়নপুর পুলিশ স্টেশনে তাদের আঁটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা। এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না বলে তীব্র আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। যার ফলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।

জানা গিয়েছে, আজ থেকে প্রায় ১৩ বছর আগে ২০০৬ সালে বামফ্রন্ট সরকারের আমালে এই সমস্ত জমি গুলো একুয়েশন বা অধিগ্ৰহণ করা হয়ে ছিল। সেই সময় থেকেই এলাকার মানুষ প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করে ছিল বলে খবর। আন্দোলনকারীরা সেই সময় থেকেই দাবি জানিয়ে আসছে যে তাদের না জানিয়ে এই জমি জোর করে অধিগ্ৰহণ করা হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছেন, সেই সময় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাদের আশ্বাস দিয়ে ছিলেন যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তাদের জমি জোর করে অধিগ্ৰহণ করা হবে না।

এদিন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এক আন্দোলনকারী বলেন, “২০০৬ সালে বামফ্রন্ট সরকার আমাদের না জানিয়ে এই সমস্ত জমি গুলো একুয়েশন করে ছিল। সেই থেকে আমাদের লড়াই চলছিলো। ২০০৯ সালে বিরোধী দলীয় নেত্রী মমতা ব্যানার্জী বলে ছিলেন ‘আপনারা আমাকে সহযোগিতা করুন। আমাদের দল ক্ষমতায় এলে এইসব জমি ছেড়ে দেব। আজ পর্যন্ত আমরা সরকারের সাথে একাধিকবার বসেছি, একাধিকবার চিঠি করেছি, সিএম থেকে শুরু করে ডিএম সব জায়গায় আমরা সরাসরি সাক্ষাৎ করেছি। সি এম আমাদের সরাসরি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং বলেছিলেন তোমাদের জমি যারা অনিচ্ছুক তাদের জমি ফেরত দেওয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকার যে দামে জমি নিতে চাচ্ছে সেই দামে আমরা জমি দেব না, কারণ আমরা কৃষক আমাদের কাজ করে ক্ষেতে হয়। জমি দিয়ে দিলে আমাদের ছেলে মেয়েরা বেকার হয়ে যাবে। সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর আমাদের পিছন থেকে ছুরি মারছে, সরকার আমাদের কথা ভাবুক।”

তিনি সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সরকার যেন আমাদের সাথে বসে এর একটা সমাধান করে দেন এবং আমাদের জমি যেন ফেরত দেন। আমাদের দাবী না মানলে শত শত লোক রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব। দ্বিতীয় ভাঙড় তৈরি হবে বা তার চেয়েও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে। সরকারের কানে যাতে জল ঢোকে তার ব্যাবস্থা আমরা করে দিতে পারি।”

Related Articles

Back to top button
error: