টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ভয়াবহ কয়লা সঙ্কট। এরজেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল পাঞ্জাবের তিন-তিনটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র । সমস্যার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি রবিবার বিকেলে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রকে। দ্রুত কয়লা সরবরাহের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বলেছেন, দ্রুত পদক্ষেপ করা না হলে পাঞ্জাব অন্ধকারে ডুবে যাবে। বিদ্যুৎ সংকটের কথা শোনা যাচ্ছে রাজধানী শহরেও। অন্যদিকে মন্ত্রীর মুখে অন্য বুলি। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংয়ের দাবি, কয়লা ফুরিয়ে আসা নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। দিল্লিতে কোনও বিদ্যুৎ সংকট নেই বলেও দাবি করেছেন মন্ত্রী।
রবিবার আরকে সিং, আধিকারিক, সচিব এবং বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরেই সংবাদিকদের সামনে দাবি করেন, ‘আমাদের সংগ্রহে আগামি ৩-৪ দিনের কয়লা মজুত রয়েছে। প্রতিদিন এভাবেই কয়লা মজুত বাড়ানো হয়। পাশাপাশি খনি এবং কয়লা মন্ত্রকের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি।‘
সম্প্রতি দিল্লির বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী দিনে ব্যাপক বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে রাজ্য। ব্ল্যাক আউটেরও আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতেও মন্ত্রীর এই আশ্বাসবানী। মনীশ সিসোদিয়া মন্ত্রীকে ‘অন্ধ’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বিপর্যয়ের সময় কেন্দ্র হাত গুটিয়ে বসে আছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন কোভিড পরিস্থিতির কথা। মনীশের অভিযোগ, দিল্লিতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও কেন্দ্র বলেছিল, অক্সিজেনের অভাব নেই। এখনও তাই করা হচ্ছে। বিপদকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
সুত্রের খবর, গোটা দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন, সেই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কয়লার জোগান নেই। দেশে ১০৪টি থার্মাল প্লান্টের বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ১২৬.৮ গিগা ওয়াট। কিন্তু সেই প্লান্টগুলোতে কয়লার জোগান সঙ্কটজনক।