ভোটের মুখে ‘বীর বাল দিবস’ ঘোষণা নির্বাচনী আচরণ-বিধি বিরোধী মত তৃণমূল মুখপাত্রের

ছবি সংগৃহীত

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : পঞ্জাব রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটের মুখে সফরে গিয়ে কৃষক বিক্ষোভের কারণে সভা বাতিল করে দিল্লি ফিরে আসতে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এবার শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহের ২৬ ডিসেম্বরের জন্মজয়ন্তিকে প্রতি বছর ‘বীর বাল দিবস’ হিসাবে পালনের ঘোষণা করে শিখদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী এমনই অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। আসন্ন বিধানসভা ভোটের মুখে যখন ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে তখন এই ধরনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আদর্শ আচরণ-বিধি ভঙ্গ করছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র সাকেত গোখলে অভিযোগ করে বলেন, “মোদী প্রথম দিনেই নির্বাচনী আচরণ-বিধি ভেঙেছেন। ভোটমুখী রাজ্যে প্রভাব ফেলতে নিজের পদকে কাজে লাগিয়ে এই ঘোষণা করেছেন। নির্বাচন কমিশন অবশ্য অন্য দিকে তাকিয়ে থাকবে।” অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সাওয়াল করে বলেন, “মাতা গুজরী, গুরু গোবিন্দ সিংহ ও চার সাহিবজ়াদের বীরত্ব ও আদর্শ লক্ষ লক্ষ মানুষকে শক্তি দেয়। তাঁরা অন্যায়ের সামনে মাথা নত করেননি। তাঁরা সকলের সমাবেশ ও সামঞ্জস্যে ভরা এক পৃথিবীর কথা ভেবেছিলেন। তাঁদের বিষয়ে সকলের জানা উচিত। সেটিই সময়ের চাহিদা।”

উল্লেখ্য যে, শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহ ও তাঁর চার পুত্র মুঘলদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। জানা যায় তাঁর দুই পুত্র অজিত সিংহ ও জুঝার সিংহ ১৭০৪ সালের ২১-২৩ ডিসেম্বরে মুঘলদের সঙ্গে চমকৌরের যুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন। অপর দুই পুত্র জোরাওয়ার সিংহ ও ফতেহ সিংহ ২৬ ডিসেম্বর সরহিন্দের নবাবের হাতে নিহত হন। এছাড়া তাঁদের মা গুজরীও শহিদ হয়েছিলেন বলে দাবি।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে এটা মুঘলদের বিরুদ্ধে শিখ ধর্মগুরুদের রুখে দাঁড়ানোর কথা স্মরণ করি দিয়ে, ধর্মীয় ‘সংঘাতের স্মৃতি’ উস্কে দিয়ে রাজনীতির ময়দান গরম করার প্রয়াস। পাঁচ রাজ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে আগেই। শনিবার থেকেই সেখানে আদর্শ নির্বাচনী আচরণ-বিধি চালু হয়ে গিয়েছে। তাই এমন সময়ে এই ধরনের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।