টিডিএন বাংলা ডেস্ক : ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী বেনি গান্তজ আরব রাষ্ট্র মরক্কো সফরে এসে শনিবার মরক্কো এবং ইসরাইলের মধ্যে নিরাপত্তা, গোয়েন্দা ও সামরিক সহযোগিতা বিষয়ে বৃহত্তম চুক্তি স্বাক্ষরিত করলেন। ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এই চুক্তির সমালোচনা করে বলেছে, “মরক্কো এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের মধ্যে নিরাপত্তা, গোয়েন্দা ও সামরিক সহযোগিতা বিষয়ে যে চুক্তি হয়েছে সেটি আরববিশ্বের জন্য আরেকটি পরাজয়।” পাশাপাশি এই চুক্তির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে মরক্কোর শাসকগোষ্ঠী যে চুক্তি করেছে তা আরববিশ্বের প্রতি সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা এবং ফিলিস্তিন ইস্যু থেকে রাবাতের পিছু হটা।” তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই চুক্তির সুযোগ নিয়ে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সন্ত্রাসী সেনারা নিরপরাধ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হত্যা ও নিপীড়ন বাড়িয়ে দেবে। ফিলিস্তিনের অন্য সংগঠনগুলোও মরক্কো ও ইসরাইলের মধ্যকার নিরাপত্তা এবং সামরিক চুক্তির সমালোচনা করে বলেছে, এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির আন্দোলনের পিঠে ছুরি মারা হয়েছে।
অন্যদিকে ইসরাইলের সঙ্গে অপর আর একটি আরব রাষ্ট্র জর্দানও পানি-বিদ্যুতের বৃহত্তম চুক্তি করেছে। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে সেটি হবে জর্দান ও ইসরাইলের মধ্যে এযাবতকালের সবচেয়ে বড় চুক্তি। যদিও ইতিপূর্বে ২৭ বছর আগে জর্দান এবং ইহুদিবাদী ইসরাইল শান্তি চুক্তি করেছিল। নতুন চুক্তি অনুযায়ী জর্দান ইসরাইলকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। অন্যদিকে, ইসরাইল থেকে পাবে ২০ কোটি ঘণমিটার লবণাক্ত মুক্ত পানি। জর্দান যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে সে প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
যদিও ইসরাইল এবং জর্দানের এই চুক্তির বিরুদ্ধে জর্দানের রাজধানী আম্মানে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। যে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন হাজার হাজার মানুষ। তারা বলেন, ‘এই চুক্তির ফলে জর্দান ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে- সরকারের উচিত ইসরাইলের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে পানি সমস্যার প্রকৃত সমাধান করা।’ বিক্ষোভকারীদের অনেকে বলেছেন, “আমাদের যেমন বসবাসের অধিকার রয়েছে তেমনি ফিলিস্তিনিদেরও বসবাসের অধিকার রয়েছে। ইসরাইল-ফিলিস্তিনি ইস্যুতে আমরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করি।”