টিডিএন বাংলা ডেস্ক : উচ্চ মাধ্যমিকের মধ্যেই হঠাত্ উপনির্বাচন কেন? কেন বাঙালির পূজা-পার্বনের মাঝেই উপনির্বাচন? প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনায় সরব হলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তার অভিযোগ, বিজেপির কথায় নির্বাচন করছে নির্বাচন কমিশন। এদিন তিনি বলেন, ”আমাদের সরকার চিঠি লিখেছিল নির্বাচন কমিশনকে। ছ’মাসের মধ্যে ভোট যদি করতেই হয়, তা হলে পাঁচ রাজ্যের (বিধানসভা ভোটের) সঙ্গেই করে নিতে পারত। দফায় দফায় বিজেপির কথায় নির্বাচন করছে! ওই সময়ে অন্নপূর্ণা পুজো, পয়লা বৈশাখ, অম্বেডকর জয়ন্তী আছে। নিজেদের ইচ্ছেমতো তারিখ দিয়েছে।’
রাজ্য সরকার উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, নিয়ম অনুযায়ী কোনো খালি আসনে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। সেই অনুযায়ী তাদের হাতে উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার মতো আর সময় নেই। কিন্তু এই যুক্তি মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ‘উপনির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করবে। তারা স্কুলে থাকবে। আবার স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিকের সিটও পড়বে। এক সঙ্গে কী করে দু’টি জিনিস চলবে? এই বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনের।”
পাশাপাশি উপনির্বাচনের জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় পরীক্ষার্থীদের কাছে ‘ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন’ মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, ”আমার খারাপ লাগছে। ছাত্রছাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।… আপনাদের পরীক্ষা বার বার পিছোতে হচ্ছে বলে, আমার নিজের খারাপ লাগছে।” এরপর পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, ”কিছুটা ‘গ্যাপ’ দিয়ে রুটিন করা হয়েছে। প্রথম তিন দিনের পরীক্ষার পরে মাঝে একটা ‘গ্যাপ’ আছে। তখন অঙ্ক, রসায়ন-সহ নানা বিষয়ের প্রস্তুতি নেবেন। জয়েন্টের প্রস্তুতি নেবেন। নতুন সূচিতে মাত্র এক দিন বাড়িয়েছি। অনেকগুলি গ্যাপ রেখেছি। যাতে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রস্তুতিতে সুবিধা হয়।’