টিডিএন বাংলা ডেস্ক: কানপুরের চাকেরী থানা এলাকায় ১৮ লাখ টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে ঠিকাদারের গায়ে পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল এক নির্মাতা। ঘটনার সময় উপস্থিত কিছু মানুষ ওই ঠিকাদারকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই ওই ঠিকাদারের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মারা যাওয়ার আগে ঠিকাদার বলেন,“১৮ লাখ টাকার জন্য নির্মাতা প্রথমে তাঁকে নির্দয়ভাবে মারধর করেন এবং পরে পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে দেন।”
মৃত ওই ঠিকাদারের নাম রাজেন্দ্র প্রসাদ পাল। অভিযুক্তের বাড়িতে নির্মাণ কাজ করতেন তিনি। রাজেন্দ্রর ছেলে অরবিন্দ কুমার পাল জানান, তাঁর বাবা নির্মাতা শৈলেন্দ্র শ্রীবাস্তবের চুক্তিতে নির্মাণ কাজ করতেন। দেড় বছর ধরে বাবার প্রাপ্য ১৮ লাখ টাকা আটকে রেখেছিলেন। টাকা চাইলে হুমকি দিত। যখন অনেকবার ধরে বাবা টাকা চান তখন ওই নির্মাতা তাঁর হিসাবরক্ষক তিওয়ারিকে দিয়ে বাবাকে বাড়িতে ডেকেছিলেন।
অরবিন্দ জানান, তাঁর বাবা বাড়িতে পৌঁছলে নির্মাতা শৈলেন্দ্র প্রথমে তাঁকে নির্দয়ভাবে মারধর করে। এরপর পেট্রোল ঢেলে তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। অন্য লোকজনের সহায়তায় তাকে উরসালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজেন্দ্রর মৃত্যু হয়।
ছেলে অরবিন্দের অভিযোগ, অফিসারদের অবহেলাতেই বাবার মৃত্যু হয়েছে। অরবিন্দ বলেন,“বাবা রাজেন্দ্র অনেক অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছিলেন নির্মাতার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে রয়েছেন চাকেরি থানা, ডিসিপি ইস্ট, কানপুরের পুলিশ কমিশনার বিজয় সিং মীনা এবং ডিএম। তবে, কোনও এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি বা নির্মাতার প্রভাবের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। টাকার জন্য চাপ দিলে অবশেষে বাবাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে সে। এসবই পুলিশ কর্মকর্তাদের গাফিলতির ফল। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ডিসিপি ইস্ট প্রমোদ কুমার জানিয়েছেন, মৃতের ছেলে অরবিন্দ অভিযোগ করেন। এরপর অভিযুক্ত নির্মাতা শৈলেন্দ্র শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।