টিডিএন বাংলা ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের পরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ভোট পরবর্তী হিংসা ও হত্যার অভিযোগ তোলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশের দ্বারা নিরপেক্ষ তদন্ত হবে না সন্দেহে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি ওঠে। ফলে তদন্তের ভার যায় সিবিআই এর উপর। সিবিআই কর্তৃক জোরকদমে শুরু হয় রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্ত। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে জেলায় জেলায় ঘুরে ঘুরে খতিয়ে দেখছে ভোট পরবর্তী হিংসার সঠিক কারণ। বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড়ো উৎসব দূর্গা পুজোর মধ্যেও থেমে নেই সেই তদন্ত। এরই মাঝে অষ্টমীর রাতে ভাটপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হল ৮ জনকে। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্তের স্বার্থে নিজেদের কাজ করে চলেছেন CBI আধিকারিকরা। চলছে রাজ্য জুড়ে জিজ্ঞাসাবাদ, ঘটনার সঠিক তদন্তের পরীক্ষণ। সূত্রের খবর উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার জগদ্দল বিধানসভার বিজেপি বুথ সভাপতি কমল মণ্ডলের মা শোভারাণী মণ্ডলের মৃত্যুর কেসের তদন্তের স্বার্থে আট অভিযুক্তকে মঙ্গলবার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে বুধবার হাজিরা দিতে হবে। প্রথম থেকেই বিজেপি অভিযোগ করছিল এই মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। নোটিশ পেয়ে বুধবার সেই ৮ অভিযুক্ত হাজিরা দেয় CBI অফিসে। দীর্ঘ সময় ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদের পালা। তাদের বক্তব্যে সঙ্গতি না মেলায় অবশেষে গ্রেফতার করা হয় ওই ৮ জনকে। এই গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন মহিলা এবং পাঁচজন পুরুষ রয়েছেন। পুজোর মধ্যে সিবিআইয়ের এই গ্ৰেফতারে অস্বস্তিতে পড়বে তৃণমূল- এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। উল্লেখ্য যে, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ইতিপূর্বে নন্দীগ্রাম থেকে ১১ জনকে বন্দি করা হয়। যার মধ্যে তৃণমূলের নেতৃস্থানীয় অনেকেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
