টিডিএন বাংলা ডেস্ক : দেশব্যাপী দুই সন্তান নীতি প্রণয়নের কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল মোদি সরকার। ২২-এ পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে বাড়তি ঝুঁকি নিতে নারাজ গেরুয়া শিবিরের একটা বড় অংশ। খোলাখুলি জানিয়েছেন নিজেদের মতামত। ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে দেশের সার্বিক উন্নয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য। দেশের জনগণের ওপর কোনও রকম বোঝা চাপানো উদ্দেশ্য নয় সরকারের। এমনই যুক্তি দেখিয়েছেন এক কেন্দ্রীয় নেতা। অসম, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই দুই সন্তান নীতির ক্ষেত্রে সম্মতি জানিয়েছে। এই নীতি মেনে চলা রাজ্যগুলির জন্য একগুচ্ছ সুবিধার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত গোটা দেশে ‘দুই সন্তান জনসংখ্যা নীতি’ প্রণয়ন করার ডাক দিয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিল নিয়ে আসতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষস্তরের নেতারা। সংসদে কোনও বিল পেশ করা হলে তা আইনে পরিণত হওয়ার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। সংসদে বিল পাশ করার আগে সংশ্লিষ্ট বিলটির আইনিভিত্তি খতিয়ে দেখা হয়। এই মর্মে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সামনে বিলটির খসড়া পেশ করা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে তৈরি হয় বিল। এরপরে সংসদের অধিবেশনে পেশ করা হয় সেই বিল। সংসদের উভয় কক্ষে বিলটি পাস হওয়ার পরে রাষ্ট্রপতি বিলটিতে স্বাক্ষর করেন। এরপরই সংসদে পাস হওয়া বিলটি আইনে রূপান্তরিত হয়। সাংবিধানিক এই যাবতীয় পদ্ধতি মাথায় রেখে দুই সন্তান নীতি প্রণয়ন নিয়ে কোন পথে সাফল্য পাওয়া যাবে সেটাই ভাবাচ্ছে বিজেপি নেতাদের।