টিডিএন বাংলা ডেস্ক : করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের হাত থেকে বাঁচতে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বড়দিনে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫-১৮ বছরের ছেলে-মেয়েদেরও টিকাকরণের সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি ঘোষণা করেন, ‘১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য টিকাদান করা হবে নতুন বছরে।’ ৩ জানুয়ারি থেকেই সেই টিকাকরণের কাজ শুরু হওয়ার কথা। তিনি বলেন, ‘স্কুল কলেজে পড়ুয়ারা যাচ্ছে। তাদের সুরক্ষার জন্য টিকাদান জরুরি।’ তিনি বলেন, “২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি থোকেই স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রিকশনারি ভ্যাকসিন ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। কো-মর্বিডিটি যাঁদের আছে, তাঁদেরও ওই টিকাদান করা হবে।”
তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, “ওমিক্রন বাড়ছে। আতঙ্কিত হবে না। সতর্ক থাকুন। মাস্ক পরুন। বারবার হাত ধুতে হবে। এখন ভাইরাসের মিউটেশন হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো। কিন্তু, তার জেরে যাতে করোনা সংক্রমণ না ছড়ায়, সেদিকে নজর রাখা জরুরি। আমাদের মধ্যে সৃজনশীল উদ্যম বাড়ছে। দেশে এই মুহূর্তে ১৮ লাখ শয্যা আছে। আইসিইউ ও নন আইসিইউ মিলিয়ে ৯০ হাজার শয্যা রয়েছে। রাজ্যগুলিকে চার লাখ অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় টেস্ট কিট দেওয়া হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “ব্যক্তিগত কিছু আচরণ বদলে দিলেই করোনা রোখা সম্ভব। ভ্যাকসিন নির্মাণের কাজ জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছিল প্রথমদিকে। সার্টিফিকেশন সহ সবকিছু নিয়ে কাজ করেছে। ১৬ জানুয়ারি থেকে নিজেদের নাগরিকদের টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। ৬১ শতাংশ মানুষ ডবল ডোজ পেয়েছেন। ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ভ্যাকসিনের একটি ডোজ পেয়েছেন।”
