নিজস্ব সংবাদদাতা, টিডিএন বাংলা, দিল্লি ২০২১ সালের নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। আর তাই রণকৌশল ঠিক করতে বাংলায় আসছেন ওয়েলফেয়ার পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি ড: এস কিউ আর ইলিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক সীমা মহসিন। দলীয় সূত্রে খবর, ৩০ অক্টোবর রাতে তিনি কলকাতা বিমান বন্দরে নামবেন। তারপর একটি হোটেলে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হবে। সেখানে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খবর নেবেন বলে জানা যাচ্ছে।
পরের দিন ৩১ অক্টোবর দলীয় কার্যালয়ে জেলার সক্রিয় সদস্যদের নিয়ে রাজ্য সভাপতি নির্বাচন হবে। সেদিনই বিধানসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
১ নভেম্বর সকাল ১১ টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বিকেলে রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে মিলিত হবে ড: কাসেম রসূল ইলিয়াস ও সীমা মহসীন। সন্ধ্যায় কলকাতার নেতা,কর্মী ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে বৈঠক আছে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ইস্যুতে বাম-কংগ্রেস-ওয়েলফেয়ার পার্টি যৌথ সভা,মিছিল হয়েছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা,উত্তর চব্বিশ পরগনা,হাওড়া, পূর্বমেদিনীপুর, নদিয়া,মুর্শিদাবাদ, বীরভূম,মালদা,দুই দিনাজপুর, কোচবিহারে ওয়েলফেয়ার পার্টির একটা বড় ভোট আছে। বাকি জেলাগুলিতেও কিছু ভোট আছে। কিন্তু বরাবরই দলটি ধৰ্মনিরপেক্ষ শক্তির ভোট যেন ভাগাভাগি না হয়ে যায় তার জন্য অল্প সংখ্যক আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কী হবে? মনে করা হচ্ছে, বিজেপি বিরোধী ভোট এক জায়গায় করার চেষ্টা ছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি,স্বজনপোষন ও অনুন্নয়ন নিয়ে সরব হতে পারে ওয়েলফেয়ার পার্টি। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতারা একাধিক পরিকল্পনা নিয়ে ভোটে লড়াই করতে চাইছেন। দলটির মূল লক্ষ্য, একদিকে বিজেপিকে হারানো অন্যদিকে ধৰ্মনিরপেক্ষ শক্তির উত্থান। এক নেতা জানান, বিধানসভায় মূল্যবোধ ভিত্তিক দলের বিধায়ক খুব জরুরি। আগামী প্রজন্মের স্বার্থেই আদর্শিক রাজনৈতিক দলের জয় দরকার।
সূত্রের খবর, বাম-কংগ্রেস-ওয়েলফেয়ার পার্টির জোট নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
কিন্তু কত আসনে প্রার্থী দেবে ওয়েলফেয়ার পার্টি? দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি এস কিউ আর ইলিয়াস টেলিফোনে বলেন, সংগঠনের মজবুতিকরণ,মানুষের পাশে দাঁড়ানো এইসব নিয়ে কর্মীরা ব্যস্ত। সাম্প্রদায়িক ও জনবিরোধী যেকোন নীতির বিরুদ্ধে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই হবে। কিন্তু নির্বাচনে কত আসনে লড়াই হবে তা সাংগঠনিকভাবে এখনো ঠিক হয়নি। নির্বাচন কমিশনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরেই আপনারা জানতে পারবেন।