টিডিএন বাংলা ডেস্ক: গুজরাটে মুসলিম যুবককে রাস্তার ধারে পোস্টারের সঙ্গে বেঁধে প্রকাশ্যে পেটানোর অভিযোগ উঠে ছিল খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেই। সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে গুজরাট হাইকোর্টে মামলা করেন ৫ ব্যক্তি। সেই ঘটনায় এবার ১৪ জন অভিযুক্ত পুলিশের মধ্যে মাত্র ৪ জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত। গত বছরের ঘটনার ভিডিওগুলি খুবই নিম্নমানের হওয়ার কারণেই বাকিদের সনাক্তকরণ করা সম্ভব হচ্ছে না জানিয়েছেন বিচারপতি।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে লাঠিসহ অন্য পুরুষদের দেখা যায়। পুরুষদেরও মোবাইল ধরে ভিডিও ধারণ করতে দেখা যায়। জনসাধারণকে উল্লাস করতে দেখা যায়। যাদেরকে মারধর করতে দেখা গেছে এবং যারা লাঠি দিয়ে মারছে তারা সবাই সিভিল ড্রেসে ছিলেন। এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। ফলে পুলিশ চাপে পড়ে ঘটনাটি এবং জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
জানা গিয়েছে, ওই ৫ জন পুলিশকর্মীরা হলেন, একজন স্থানীয় অপরাধ শাখার ইন্সপেক্টর এ.ভি. পারমার, সাব-ইন্সপেক্টর ডি.বি. কুমাভাত, হেড কনস্টেবল কনকসিং লক্ষ্মণ সিং এবং একজন কনস্টেবল রাজু রমেশভাই ডাভী। আর যারা ঘটনার পর গুজরাট হাইকোর্টে মামলা করেন সেই চার ব্যক্তি হলেন- জহিরমিয়া মালেক (৬২), মাকসুদাবানু মালেক (৪৫), সাহাদমিয়া মালেক (২৩), সাকিলমিয়া মালেক (২৪) এবং শহীদরাজা মালেক।
উল্লেখ্য যে, ৪ অক্টোবর, ২০২২-এ, গুজরাট রাজ্যের খেদা জেলায়, হিন্দু উৎসব চলাকালীন একটি “গরবা” আনুষ্ঠানিক নৃত্যে ঢিল ছোড়ার অভিযোগে পুলিশ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়া সেই সময়ের ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বন্দুকের হোলস্টার পরা বেসামরিক পোশাক পরা একজন পুলিশ অফিসার প্রকাশ্যে বেশ কয়েকজন মুসলিম পুরুষকে লাঠি দিয়ে বেত্রাঘাত করছেন। আর সেই সময় অন্যান্য কর্মকর্তারা বিদ্যুতের খুঁটির সাথে পুরুষদের ধরে রেখেছেন