পুলিশি হেফাজতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি

ছবি সংগৃহীত ,প্রতীকী ছবি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : নদিয়া জেলার ভীমপুর থানার ওই ঘটনার রিপোর্ট জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেম কেও চাওয়া হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রের খবর।ঘটনার বিভাগীয় ও বিচার বিভাগীয় তদন্ত চলছে। যদিও ময়না তদন্তের রিপোর্টে হৃদ্‌রোগ-জনিত কারণে ওই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

গত ৫ ডিসেম্বর ভীমপুর থানায় মারা যান হেফাজতে পানিঘাটা স্কুলপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গনি শেখ( ৪৫ )। পুলিশের দাবি ছিল, জাল নোট সহ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ভীমপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তি দীর্ঘ দিন হরিয়ানায় ছিলেন। করোনার কারণে বেশ কয়েক মাস আগে বাড়ি ফেরেন। পুলিশের দাবি, তিনি এখানে জাল নোট ও হেরোইনের কারবারের সঙ্গে যুক্ত হন। পুলিশের দাবি, ‘স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ‘গত ৫ ডিসেম্বর আরও তিন জনের সঙ্গে আব্দুল গনিকেও ভীমপুরের নেলুয়া থেকে গ্রেফতার করে। তাঁদের ভীমপুর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে , ওই দিন রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন গনি। বুকে ব্যথা শুরু হয়। তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ভীমপুর থানার পুলিশের দাবি, মৃত ব্যক্তির হেরোইনের নেশা ছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হলে তিনি থরথর করে কাঁপতে শুরু করেন । তার পরই বুকে যন্ত্রণা শুরু হয়। পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন মানবাধিকার কর্মীরা। তাঁরা দাবি করতে থাকেন যে, আব্দুল গনি শেখ এক জন পরিযায়ী শ্রমিক এবং থানার ভিতরে পুলিশি অত্যাচারে তিনি মারা গিয়েছেন। একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা তাপস চক্রবর্তী।

তাপসবাবুর দাবি, “ পুলিশ যা – ই বলুক না কেন, এটা পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা । ৫ তারিখ নয় , তার তিন দিন আগেই আব্দুল গনিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মৃতদেহের ময়না তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো হয়নি। সেই সময় কোনও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিলেন না।” মৃতের ভাই শাহাজাহান শেখের কথায়, “আমার ভাই কী ভাবে মারা গিয়েছিল , আমরা কিছুই জানি না। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ করা নিয়ে এখনও কিছু ভাবিনি৷” কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, “প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে। খুব দ্রুত আমরা রিপোর্ট পাঠিয়ে দেব।”