টিডিএন বাংলা ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিকে বাগে আনতে টিকাকরণের ওপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মধ্যেকার সময়সীমা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। শোনা যাচ্ছিল, দুটি ডোজের ব্যবধানের সময়সীমা কমাতে পারে কেন্দ্র। যদিও কেন্দ্রের টিকাকরণ সংক্রান্ত কমিটি সেই জল্পনায় জল ঢেলে জানিয়ে দিল, এখনই এই ধরণের কোনও চিন্তাভাবনা তাদের নেই।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন সময়ের অন্তর কমিয়ে আনার সুপারিশ করেছিল। কিন্তু ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনিজেশন-এর চেয়ারম্যান অরোরা বললেন, আপাতত কোনও কিছু বদলানোর দরকার নেই। তিনি জানিয়েছেন, কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিক ভি টিকার দুই ডোজের মাঝের অন্তর কমানোর কোনও প্রস্তাবনা নেই।
কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর অন্তত ৮৪ পর দ্বিতীয় টিকা নিতে হবে। বর্তমানে এই নিয়ম আছে দেশে। তবে প্রথমদিকে এই ব্যবধান ছিল চার থেকে ছয় সপ্তাহ। পরে তা বাড়িয়ে করা হয় ৮ সপ্তাহ। পরে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে করা হয় ১২ সপ্তাহ। যা নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, টিকার ঘাটতি আছে দেশে।সেইজন্যই দুটি ডোজের সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও, কেন্দ্র দাবি করেছে, ব্রিটিশ গবেষণার ভিত্তিতে ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে এবং এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থার্ড ওয়েভ শিউরে। মহারাষ্ট্র ও কেরলে সংক্রমণের গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। কেন্দ্র জানিয়েছে, ওই ২ রাজ্যের যেখানে বেশি সংক্রমণ সেখানে নৈশ কার্ফু জারি করার কথা। এমনকী এই ২ রাজ্যকে আরও বেশি টিকা সরবরাহে রাজি স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এই পরিস্থিতিতে কোভিশিল্ডের ২টি ডোজের ব্যবধান পূর্ব নির্ধারিত রাখায়, চিন্তার ভাঁজ অনেকের কপালে।