টিডিএন বাংলা ডেস্ক : নাগাল্যান্ডে অভিশপ্ত ওই দিনটিতে সেনার গুলিতে মারা যায় দুই যমজ ভাই।
লাংওয়াং এবং থাপওয়াং পেটের তাগিদে মন জেলার ওই খনিতে কাজ করতেন। দুই যমজ সন্তানকে হারিয়ে তাঁদের অসহায় বাবা ক্ষোভে ফুঁসছেন। বলছেন, “আমার কোনও অনুভূতি বলে কিছু নেই। ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে বিচার হয় না। দোষী সেনা অফিসারদের শাস্তি চাই, ব্যস!”
নাগাল্যান্ডের ওই ঘটনার পর সন্তান হারানো পরিবারে এখন শ্মশানের নীরবতা। ২৫ বছরের দুই তরুণ রবিবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে গ্রাম থেকে ৬ কিমি দূরে খনিতে কাজে যাচ্ছিলেন। তারপর আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাদের। গত সপ্তাহে হোকআপ নামে এক খনি শ্রমিকের বিয়ে হয়েছিল। তাতে নিমন্ত্রিত ছিল ওই দুই ভাই। অসম রাইফেলসের গুলিতে হোকআপও মারা যান। এক গ্রামবাসী জানান, যেখানে হোকআপের বিয়ের মণ্ডপ তৈরি হয়েছিল, সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়। অসম রাইফেলসের গুলিতে মারা যান ট্রাকচালক সোমওয়াং কোনয়াক (৩৩)। তার বাবা চেমওয়াং বলেন, যে মেজর অপারেশন চালিয়েছিলেন, তাকে চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হোক। চেমওয়াং এর ভাইঝি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর কাজ আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া। অথচ তারা আমাদের ঘরের ছেলেকেই খুন করছে।
সোমবার নিহত ১৩ জন গ্রামবাসীর দেহ গ্রামে আনা হয়। সেখানে গ্রামবাসীরা নিহতদের শেষ শ্রদ্ধা জানান। তারপর সামান্য দূরে কবরস্থানে দেহগুলি কবর দেওয়া হয়। নিহতদের যোদ্ধা হিসাবে তকমা দিয়েছে ওটিং গ্রাম।