HighlightNewsদেশ

জমা পড়ল জম্মু-কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত খসড়া

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: সুদীর্ঘ প্রশাসনিক টানাপোড়েনের পর অবশেষে শেষ হল জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবারই চূড়ান্ত খসড়া জমা পড়ে যাওয়ায় এবার আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন করতে সমস্যা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে ৩৭৭ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ঠিক করা হয় সংবিধানের নিয়ম মেনে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের লোকসভা ও বিধানসভা আসনের পুনর্বিন্যাস করা হবে। সেই পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়া আড়াই বছর পর শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে জম্মু ও কাশ্মীর যখন রাজ্য ছিল তখন জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ছিল ১১১টি। এরমধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ছিল ২৪টি আসন। লাদাখে ছিল ৪টি আসন। জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে মোট আসন ছিল ৮৩টি। আসন পুনর্বিন্যাসের পরে ওই আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯০টি। এরমধ্যে জম্মুর জন্য থাকছে ৪৩টি আসন এবং কাশ্মীরের জন্য থাকছে ৪৭টি আসন।

পুনর্বিন্যাসের পর জম্মুতে মোট ছয়টি আসন বাড়লো এবং কাশ্মীরে একটি। আগের বিন্যাস অনুযায়ী কাশ্মীরের থাকা একটি আসন পুনঃবিন্যাসের পর জম্মুতে চলে গিয়েছে। এই আসনগুলির মধ্যে তপশিলী উপজাতি ও জাতির জন্য আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে যথাক্রমে নটি ও সাতটি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের আসনগুলি শূন্য রাখা হয়েছে। এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভায় পাঁচটি আসন থাকবে।
পুনর্বিন্যাসের পর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুতে আসন সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, মুসলিম অধ্যুষিত উপত্যকায় সেই অর্থে আসন সংখ্যা বাড়েনি। শুধু তাই নয়, উপত্যকা থেকেও বেশ কিছু আসন হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নয়া পুনর্বিন্যাসের এই রীতির পেছনে বিজেপির ভোট দখলের অংক আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Related Articles

Back to top button
error: