টিডিএন বাংলা ডেস্ক: গণধর্ষণে দোষীদের মুক্তির বিরুদ্ধে বিলকিস বানোর আবেদনের শুনানি মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে হয়। এদিন, আদালত দোষীদের মুক্তি সংক্রান্ত ফাইল না দেখানোর জন্য কেন্দ্র এবং গুজরাট সরকারকে তিরস্কার করে। বিচারপতি কে এম জোসেফ বলেন, আপনি চান না যে বেঞ্চ বিষয়টি শুনুক।
বিচারপতি আরো বলেন, আমি ১৯ জুন অবসর নেব। এই সময়ের মধ্যে আমি ছুটিতে থাকব, তাই আমার শেষ কার্যদিবস ১৯ মে। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলাম যে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নেওয়া হবে। আপনি মামলা জিততে বা হারতে পারেন, কিন্তু আদালতের প্রতি আপনার কর্তব্য ভুলে যাবেন না। এর পরে, কেন্দ্র ও গুজরাট সরকার ১১ আসামির মুক্তি সংক্রান্ত ফাইল আদালতে উপস্থাপন করতে সম্মত হয়।
মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৯ মে। বিচারপতি জোসেফ ওই দিনই অবসরে যাচ্ছেন, তাই পরবর্তী শুনানির বিষয়ে আদালত শুধু নির্দেশনা জারি করবে। নতুন বেঞ্চ গঠনের পর জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে পরবর্তী শুনানি হবে। এই মুহূর্তে বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বিভি নাগরত্নের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছে।
এদিকে, কেন্দ্র ও গুজরাট সরকারের পক্ষে আদালতে উপস্থিত আইনজীবী বিলকিসের আবেদনকে জাল বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে বিলকিস তাঁর হলফনামায় মিথ্যা বলেছেন। সরকারি কৌঁসুলি বলেছেন, খালাস পাওয়া ১১ আসামির মধ্যে কয়েকজনকে বিলকিসের নোটিশ দেওয়া হয়নি।
এর পরে আদালতে দাখিল করা হলফনামায় বিলকিস জানান, সব দোষীদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য বিলকিস বানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বানোর পক্ষে আদালতে উপস্থিত অ্যাডভোকেট শোভা গুপ্তা এর জবাব দেন। আমি সব অপরাধীকে মেইলে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম।
গুজরাট সরকার ১১ জন দোষীর মুক্তির ক্ষেত্রে সুভাষিনী আলি এবং মহুয়া মৈত্রের দায়ের করা পিটিশনের শুনানিরও বিরোধিতা করেছে। আইনজীবীরা জানান, মামলার সঙ্গে তাঁদের আবেদনের কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়াও বানোর আবেদনে আমাদের আপত্তি আছে। এটা শুনলে প্যান্ডোরার বাক্স খোলার মত হবে।
বিলকিস তাঁর পিটিশনে গুজরাট সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর মামলায় দোষীদের অকালে মুক্তি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। তিনি ১১ আসামিকে মুক্তি দেওয়ার গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছেন।