HighlightNewsরাজ্য

৩ বছরেও মেলেনি পেনশন, চরম হতাশায় আত্মঘাতী ‘শিক্ষারত্ন’ পাওয়া হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক

টিডিএন বাংলা ডেস্ক: ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকেই ‘শিক্ষারত্ন’ পুরস্কার গ্রহণ করা কলকাতার নামি স্কুল হেয়ার স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল নিজের বাড়ি থেকে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দেবীপুরের ঘটনা। মৃত শিক্ষকের নাম সুনীল কুমার দাস (৬৩)। খবর দেওয়া হয় মেমারি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে ছিলেন ‘প্রিয়’ স্যার। অবসর নেওয়ার পরেও তাঁর বাড়িতে ছাত্র-ছাত্রীর আনাগোনা ছিল! এমন শিক্ষক কেন হার মানলেন নিজের কাছে? কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন?

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী থেকে শিক্ষারত্ন সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার তিন বছর পরেও মেলেনি নিজের প্রাপ্য পেনশন। বার বার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হয়নি। পেনশন না মেলায় আর্থিক কষ্টে দিন কাটচ্ছিল অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের। অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই হতাশা থেকেই বেছে নিলেন আত্মহত্যার পথ। এমনই অভিযোগ জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

মৃতের ছেলে সমীরণ দাসের দাবি, “২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে অবসর নেন। সে বছর শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিতও হন তিনি। তারপর থেকে অনেক চেষ্টা করেও তাঁর পেনশন চালু হয়নি। পেনশনের জন্য তিনি বারবার কলকাতা ছোটাছুটি করতেন।” মৃতের দাদা শংকর দাসের দাবি, “অবসরের পরেই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। সেই কারণেই পেনশন চালু হয়নি। এই নিয়ে ভাইকে চিন্তিত থাকতে দেখা যেত। পেনশন চালু না হওয়ায় মানসিক অবসাদের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে।”

এ প্রসঙ্গে শিক্ষামনন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের আপদকালীন পেনশন ২০২১ সালের জানুয়ারিতে চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাসত্ত্বেও কেন তিনি পাচ্ছিলেন না, কোতায় বিষয়টি আটকাল তা খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি গঠন করা হল। দ্রুত এই কমিটি রিপোর্ট দিলে পুরোটা বোঝা যাবে।”

Related Articles

Back to top button
error: