তালেবান সরকারকে ৫ লক্ষ ডোজ কোভ্যাকসিন দিল ভারত সরকার

ছবি সংগৃহীত ,প্রতীকী ছবি

টিডিএন বাংলা ডেস্ক : শনিবারই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ভারত থেকে ৫ লক্ষ ডোজ কোভ্যাকসিন বিমানে পাঠানো হল। ইরানের মাহান এয়ারওয়েজ মারফত এই প্রতিষেধক পাঠানো হয়েছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেও আরও ৫ লক্ষ ডোজ কোভ্যাকসিন কাবুলে পাঠাবে ভারত। সরকারি সুত্র মারফত কথা জানা গিয়েছে । সবমিলিয়ে ভারত বায়োটেকের মোট ১০ লক্ষ ডোজ করোনা প্রতিষেধক ভারত আফগানিস্তানের সরকারকে দিচ্ছে।

আফগানিস্তানে তালিবান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর এই প্রথম মোদি সরকার সে দেশে করোনা প্রতিষেধক পাঠাচ্ছে। তালিবানের পক্ষ থেকে ভারতের এই মদদের জন্য শুকরিয়া জানানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকার ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ নামে এক প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্প অনুযায়ী অনুন্নত দেশগুলিতে ভারত সরকার ভারতে তৈরি জিনিস উপহার হিসেবে দিচ্ছে। উদ্দেশ্য হল, ভারতে তৈরি পণ্যের গুণমান কত ভালো তা ওই সব দেশে প্রচার করে ভবিষ্যতে লেনদেনের এক বাজার তৈরি করা। এই প্রকল্প অনুযায়ীই ১০ লক্ষ ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে আফগানিস্তানে।

এমন দেশের তালিকায় ভারত যেমন আফগানিস্তানকে রেখেছে, তেমনই বাংলাদেশ, নেপাল, মায়ানমার, ভুটান, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ, ব্রাজিল, মরোক্কো, দক্ষিণ আফ্রিকা, কঙ্গো, নাইজেরিয়াকেও রেখেছে। এইসব দেশে ভ্যাকসিন উপহার দিতে গিয়ে ভারতের নাগরিকদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া যায়নি, এমন অভিযোগও উঠেছে। কেন্দ্র অবশ্য এসব অভিযোগে আমল দিতে নারাজ।

গত নভেম্বরে অনেক দেশে ধানাইপানাইয়ের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন ছাড়পত্র দিয়েছে। এই ছাড়পত্র অনুযায়ী, ২০ টি কোভ্যাকসিন সরবরাহ করা যাবে। মোদি সরকার ভারত বায়োটেকের থেকে টিকা কিনে বিভিন্ন দেশে উপহার দিয়ে জনপ্রিয়তা প্রধানমন্ত্রীর তবে বাড়াচ্ছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক। রাখা কূটনৈতিক দিক থেকেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওই দেশে ভারত হামিদ কারজাই সরকারের আমল থেকে অনেক নির্মাণপ্রকল্প করছে। সেসব বন্ধ হয়ে গেলে ভারতের আর্থিক লোকসান হবে।

উল্লেখ্য, তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ভারত কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলে। ভারতের মিডিয়ায় তালিবান নিয়ে বিরূপ প্রচার চলতে থাকায় ভারত ওয়েট অ্যান্ড সি ‘ নীতি গ্রহণ করে। কিন্তু মানবিক মদদের ক্ষেত্রে এগিয়ে এসেছে ভারত। যদিও কাবুলে বন্ধ রয়েছে ভারতীয় দূতাবাস।